.মাইনুল ইসলামঃ
গত ২৯ শে জানুয়ারি চাঁদপুর সদর থানা এলাকার বাবুরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার (১৮)কে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ইয়াসমিন আক্তারের দুলাভাই, শাহজালাল হোসেন চাঁদপুর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছে,ডাইরি নং -১৮২৩।
ইয়াসমিনের নিখোঁজ ডায়েরি ও তার দুলাভাই শাহজালালের তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ২৯ শে জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৯:৩০ মিনিটের সময় তার খালার বিষ্ণুপুর বাসা থেকে বের হয়ে সে আর বাড়ি ফিরেননি। আশপাশ আত্মীয়-স্বজন ও বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও ইয়াসমিনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি, অবশেষে ২৯ শে জানুয়ারি রাতে চাঁদপুর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন, কলেজ শিক্ষার্থী ইয়াসমিনের দুলাভাই শাহজালাল হোসেন।
ইয়াসমিনের দুলাভাই শাহজালাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান,আমার শালিকা ইয়াসমিন আক্তার তার খালার বাসা বিষ্ণুপুর থেকে বাবুরহাট সরকারি কলেজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত ইয়াসমিনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। শাহজালাল হোসেন বলেন, গতকাল ৩১ শে জানুয়ারি সকালে আমার নিকট ০১৩৩৭৩৪৭০৩২ এই নাম্বার থেকে একটি ফোন কল আসে মুসা নামক জনৈক ব্যক্তি আমাকে বলেন, ইয়াসমিন আমার কাছে আছে। কোন থানা পুলিশ করে লাভ হবে না। অজ্ঞাত নামা মুসা বলেন,ইয়াসমিনকে পাইতে হইলে আমাদেরকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।
এপর্যন্ত অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে আর কোন ফোন আসেনি এবং নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে শাহজালাল হোসেন জানান। তিনি চাঁদপুর সদর থানা পুলিশের বরাদ দিয়ে আরো বলেন, আজ ১ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ আমাদেরকে জানান,জনৈক ব্যক্তি মুসার মোবাইল নাম্বারটি ট্রাকিং করা গেছে, অপহরণকারীর নাম ঠিকানা সনাক্ত করা হয়েছে,মুসা কবিরাজ নামে সিমটি রেজিস্টার।
অপহরণকারী ব্যক্তির বর্তমান অবস্থান সাভার উপজেলা আশুলিয়া থানার দোসাইদ নামক স্থান চিহ্নিত করা গিয়েছে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ জানান, আমরা আশুলিয়া থানায় ইতিমধ্যে পুলিশকে ইনফর্ম করে দিয়েছি,ইয়াসমিনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানান।
অপহরণকারী মুসা ওরফে কবিরাজ মুসা ও শিক্ষার্থী ইয়াসমিনকে নিউজে উভয়ের(ছবি)’র ব্যক্তিদের যদি কোন ব্যক্তি কোথাও কোন স্থানে দেখে থাকেন এই নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ- রইলো-০১৮৫২৭২৫৩০০,শাহাজালাল ০১৮৭৩ ইয়াসমিনের দুলাভাই ও ভাই আব্দুল মজিদ ০১৮৭৩১২৫১৮৩।