.মাইনুল ইসলামঃ
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মীর ৮ বছরের কন্যাকে ধর্ষণের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার।
১২ মার্চ ২০২৫ইং ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বনগ্রাম এলাকা থেকে ০৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে যৌথভাবে র্যাব-৪, সিপিসি-২, এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী।
জানা যায়, গত ইং ২৮/০২/২০২৫ তারিখ ০৯.০০ ঘটিকার সময় জনৈক আসামি মোঃ রাসেল (১৯) বাদীর বাড়ীতে বেড়াতে আসে। বিবাদী সম্পর্কে বাদীর মামাতো ভাই। বাদী ও তার স্ত্রী উভয় গার্মেন্টসে চাকুরী করে। তাদের শিশু কন্যা (৮) পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। প্রতিদিনের ন্যায় বাদী ও তার স্ত্রী কাজের উদ্দেশে রওনা দিলে আনুমানিক ০৭. ৫০ ঘটিকার সময় বিবাদীর পিতা বাদিকে কল করে বলে তার ছেলেকে বাদীর বসতবাড়ীর পার্শ্বে কেউ আটকিয়ে রাখেছে। উক্ত সংবাদেরে পরে বাদী গেট পাশ নিয়ে বাসায় এসে দেখে তার মেয়ে কান্নকাটি করছে। অতপর বাদী তার প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ১০-০৩-২০২৫ ইং তারিখে সকাল ০৭ ঘটিকার সময় আশুলিয়া থানাধীন কাইচ্চাবাড়ী সাকিনস্থ মোল্লা ৪র্থ তলা বিল্ডিং বাড়ীর ২য় তলায় ৭৭৬ নং কক্ষে ভিকটিমকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ মোতাবেক একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘৃণ্য এ আসামিকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৪, সিপিসি-২ সাভার ছায়া তদন্ত শুরু করেন । গ্রেফতাকৃত আসামীর ঠিকানা নিম্নরুপঃ
ক। মোঃ রাসেল (১৯), জেলা-ভোলা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪, সিপিসি-২, ও র্যাব-১০, সদর কোম্পানী এর চৌকস গোয়েন্দা দল জানতে পারে যে, জঘন্য এই শিশু ধর্ষক আত্মগোপন করে কেরানীগঞ্জ থানাধীন বনগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে। যার পরিপেক্ষিতে যৌথভাবে র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভার ও র্যাব-১০, সদর কোম্পানী এর একটি চৌকস আভিযানিক দল এই ধর্ষককে উল্লেখিত স্থান থেকে মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে র্যাব জানায়।