কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ যথাযথভাবে পালিত।র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জনাব ফজলে এলাহী, রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আমিনুল ইসলাম, রাজিবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম বাবু, চর রাজিবপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ মন্ডল, রাজিবপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রুস্তম মাহমুদ লিখন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন মোঃ ইলিয়াস <span;> সহ প্রশাসনের সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী, সাংবাদিকগন ও সাধারণ জনগণ।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী পহেলা বৈশাখের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন পহেলা বৈশাখ প্রতিটি বাঙালির কাছে এক অনন্য অনুভূতি, আবেগ। নতুন বছরকে স্বাগত জানানো আর পুরাতনকে বিদায়ের এই সন্ধিক্ষণ আসলেই অর্থবহ। পহেলা বৈশাখ , বাঙালি সংস্কৃতির পরিচায়ক ও ধারক। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ সুপ্রাচীন বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এটি কোটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলাদেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ব্যাপক সাড়ম্বরে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়।
পহেলা বৈশাখের রীতিনীতি, উৎসব আবহমান বাংলার এক অনন্য সংযোজন। শহর থেকে গ্রামে, দেশ থেকে বিদেশে সব বাঙালিই মেতে উঠে আনন্দ উল্লাসে। তরুণদের গায়ে লাল-সাদা পাঞ্জাবী থাকে, তরুণীরা শাড়ি পরে। ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি।খোঁপায় থাকে ফুল, হাতভর্তি কাচের চুড়ি। বাচ্চারা রঙিন জামা পরে মেলায় যাওয়ার বায়না ধরে। বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নে থাকে দই-মিষ্টি, বিন্নি ধানের খৈ, মোয়া, সন্দেশ, ভাত, তরকারি, ডাল, পান্তাভাত। থাকে হরেক রকম ভর্তা, ইলিশ মাছ ভাজি, ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদি । পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিস্তৃতি ব্যাপক