কুমিল্লা সদর দক্ষিণে এক যুবককে হত্যা চেষ্টার আলোচিত ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ (বুধবার) ১৪ মে বিকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ১২ মে সন্ধ্যা ৭ টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির সদ্য যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজ হোসেন শামীম (সাবেক মেম্বার) অদৃশ্য ইশারায় তার মাদকসেবী ছেলে মুন্নার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় কুমিল্লা আদালতের আইনজীবীর সহকারী বিল্লাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিল্লালকে মৃত ভেবে পালিয়ে যায় মুন্নাসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় বিল্লালের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিএনপি নেতা শামীম মেম্বার ও তার ছেলে মুন্নাসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ বিএনপি নেতা শামীম মেম্বারের ছেলে মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও জানা যায়, গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকায় মুন্না, আনিছ, মোঃ হোসেন ওই এলাকার বিল্লালকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাছগাছালি ভরা বাগানে নিয়ে ২ ঘন্টা আটকে রেখে সন্ত্রাসী মুন্না তার মোবাইল ফোনে লাউড স্পীকার দিয়ে সদর দক্ষিণ বিএনপি নেতা মিনহাজ হোসেন শামীমকে কল দিলে এ নেতা বলে, বিল্লাল হোসেনকে জীবনে শেষ করে দে। মিনহাজ হোসেন শামীমের এই নির্দেশ পেয়ে মুন্নাসহ তার সন্ত্রাসীরা ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বিল্লাল হোসেনের মাথায় কোপ মারে। এতে বিল্লালের মাথায় ১৫ টি সেলাই লাগে।
ঘটনার আসামিরা হলেন, ০১। মিনহাজ হোসেন শামীম (৬০), পিতা- মৃত মুক্তল হোসেন, ০২। মুন্না (২৪), পিতা- মিনহাজ হোসেন শামীম, ০৩। মোঃ আনিছ (৪০) পিতা- মৃত আবুল ৩০ কাশেম, সাবেক মেম্বার, সর্বসাং- একবালিয়া, ০৪। মোঃ হোসেন (২৪), পিতা- মৃত নুরু মিয়া, সাং- জয়পুর, রি ০৫। আবু জাহিদ (২২), পিতা- বিল্লাল হোসেন, সা- দূর্গাপুর, ০৬। মোঃ সামি (২১), পিতা- জিল্লালুর রহমান, সাং-কৃষ্ণনগর, সর্ব পোঃ বালুরচর, সর্ব থানা- সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা- কুমিল্লাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন।
এ বিষয়ে বাদী ফারহানা বলেন, বিএনপি নেতা ও সন্ত্রাসী মিনহাজ হোসেন শামীম নাটক করে, সে নিজেকে বলে যে ওই দিন কুমিল্লায় ছিলো না। কিন্তু সে মূলত এই ঘটনার মূলহোতা। তার ছেলে মাদকাসক্ত, দলবল নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন। শামীম মেম্বারসহ সকল সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই। না হয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইনউপদেষ্টা, আইজিপি, ডিআইজি, আইজিপি অপরাধ তদন্তসেলে পুলিশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করব।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।