রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত কথিত মাদক সিন্ডিকেটের তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিক আবু ছাইমের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী সাংবাদিক আবু ছাইম দৈনিক ডেসটিনি ও বাংলাদেশ বার্তা’র রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু ছাইম জানান, যাদুরচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি বুলবুল আহমেদ বিপ্লব নিজেকে রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমানের ভাগ্নে পরিচয়ে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। এসব অবৈধ অর্থের একটি অংশ সরাসরি ওসির কাছে পৌঁছানো হতো বলে তিনি দাবি করেন। সাংবাদিক ছাইম এ বিষয়ে কল রেকর্ড, লেনদেনের তথ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানসহ একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন।
এমন তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি ওসির কানে পৌঁছালে, সাংবাদিকের মুখ বন্ধ করতে পরিকল্পিতভাবে গত শুক্রবার (১৬ মে) রাতে বিপ্লবের ভগ্নিপতি কামরুজ্জামান বাবুকে দিয়ে একটি মনগড়া অভিযোগ দায়ের করিয়ে মামলা করেন ওসি লুৎফর রহমান। যার মামলা নম্বর: ০৯/২৫, জি.আর. নম্বর: ৮৬/২৫।
এ বিষয়ে ওসি লুৎফর রহমান বলেন, “বিপ্লব আমার ভাগ্নে নয়, সে আমার ব্যাচমেটের ভাগ্নে।” তবে তিনি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের কিংবা নিজের নাম ব্যবহার করে মাদক চাঁদাবাজির বিষয়ে কোনো স্পষ্ট জবাব দেননি।
সাংবাদিক ছাইমের দাবি, “একজন সরকারি কর্মকর্তার এহেন আচরণ শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার নয়, বরং এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি হুমকি। আমি এসব মাদক ব্যবসা ও দুর্নীতির তথ্য জনসম্মুখে তুলে ধরবো, প্রয়োজনে আইনি লড়াই করবো।”
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রৌমারী-রাজীবপুর সার্কেল) মমিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।