চরশৌলমারী বাজারটি রৌমারী উপজেলার উত্তর পশ্চিম ঞ্চলের চরের বুকে বসত করা মানুষের গুরুত্বপূর্ণ একটি হাট বাজার। বাজারটি অতি পুরাতন শতবছরের। যে হাট বাজারটি ওই অঞ্চলের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সাংসারিক চাহিদা মিটিয়ে থাকে। যেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করে অসংখ্য মানুষের জীবিকা নির্বাহ হতো। চরশৌলমারী হাট বাজারটি স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালে। যে হাট বাজারটি নির্মাণে তৎকালীন সময়ে ভূমিকা রাখেন, মরহুম বিদেশি মাহমুদ, মরহুম আহম্মদ আলী, মরহুম আব্দুর জব্বার, মরহুম তোরাব আলী,মরহুম আসগর আলী দেওয়ানী, মোঃ জসিম উদ্দিন মাষ্টার, মোহাম্মদ আলী মেম্বারসহ নাম না জানা অনেকেই। সেই সময়ে বাজারটি ১৬ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত হয়। যে জমি দাতা হলেন মরহুম তোরাব আলী মাষ্টার। সেখান থেকে বর্তমানে চরশৌলমারী হাট বাজারের পেরিফেরিসহ মোট জমির পরিমান প্রায় ২ একর।
এখানে স্থানীয় ভাবে হাট বাজারে দোকান পাট করে ব্যাবসা বানিজ্য করার লক্ষ্যে অনেকেই ব্যাক্তিগতভাবে সম্পত্তি ক্রয় করে ডিসিয়ার গ্রহন করে দোকান পাট নির্মাণ করে ব্যাবসা করছে। কিন্তু বাজারটি সরকারি হস্তক্ষেপ বা তদারকি না থাকায় কিছু অসাধু চালাক ও পেষী শক্তি এবং দলীয় ক্ষমতা ব্যাবহার কর যুগের পর যুগ বাজারটিতে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে নিজেদের দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ নিজ স্বার্থ চরিত্রার্থে কৌশলী ভূমিকা পালন করছেন। সরেজমিনে গিয়ে বাজারে অসংখ্য দোকানদারের সাথে কথা বলে জানাযায়,চরশৌলমারী বাজারটি সাজানো গোছানো সারিবদ্ধ দোকান ছিলো দু’পাশের দোকানের মাঝখানে হাটুরাদের যাতায়াতের জন্য ৪০ থেকে ৫০ ফিট ফাঁকা রাস্তা ছিলো। সেগুলো কালের আবর্তে দখল বানিজ্যে দলীয় প্রতিযোগিতায় যত্রতত্র দোকান ঘর নির্মাণ করে বাজারের পরিবেশ ধ্বংস করা হয়।
তবে নিস্তার নেই দোকান মালিকদের। সরকার বদল হলে নেতাকর্মীদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। বিপদ কমেনা দোকান মালিকদের। সরকার পরিবর্তন হলে যেন,দোকানদার দের ভাগ্যে নেমে আশে ঘন-কালো ঘোর আমা নিশা।
চরশৌলমারী বাজারে বিগত সরকারের শাসনামলে সরকার দলীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রায় অর্ধশত অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণ করেন। যে ঘর গুলো লাখলাখ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জনকে মালিকানা হস্তান্তর করে। কিন্তু নিস্তার নেই দোকান মালিকের। চরশৌলমারী বাজারে দোকানে অন্যের দোকানে হাট ইজারাদারের ছবিযুক্ত ব্যানার লাগিয়ে দোকান ঘরে তালা লাগান। সরেজমিনে জাহাঙ্গীর এর সাথে তালা লাগানোর বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, ঘরটি হাট অফিস হিসেবে ব্যাবহার করার জন্য নিজ দখলে নিতে তালা দিয়েছি। তবে খোজ নিয়ে জানাযায় ঘরটির ডিসিয়ার রয়েছে। ডিসিয়ার থাকা সত্বেও ঘরটিতে লাখলাখ টাকার মালামাল থাকা সত্বেও জোর পুর্বক তালা দেওয়ায় মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।