রৌমারীতে অবৈধ ভেকু দ্বারা ফসলী জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। দীর্ঘদিন ধরে মাটি খেকো একটি সিন্ডিকেট এলাকার ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে জমি গুলো ফসল উৎপাদনে অনুপযোগী পতিত ভুমিতে পরিণত করছে।
রৌমারীতে প্রায় অর্ধশত ভেকু মেশিন দ্বারা পুরো এলাকা তছনছ করে চলছে ভেকু সিন্ডিকেটটি। প্রতিনিয়ত সকাল হতে রাত পর্যন্ত তাদের তান্ডব চলে। ভেকু মেশিনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে অবৈধ কাঁকড়া গাড়ি। একটি ভেকু মেশিনের মাটি বহন করতে ১০ থেকে ১২ টি কাঁকড়া চলে। এমন ভাবে অর্ধশত ভেকু ও শতাধিক অবৈধ কাঁকড়া দিনভর গ্রামীণ সড়ক ও উপজেলা শহরের প্রধান সড়কে বিকট শব্দে প্রচন্ড গতিতে চলতে থাকে। কাঁকড়া গাড়ির প্রচন্ড গতি পথচারি ও স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থিরা সড়ক দূর্ঘটনার ভরে তটস্ত থাকে।
ইতো পুর্বে কাঁকড়ার সাথে দূর্ঘটনায় প্রায় ২০ জন প্রাণ হারায় ও শতাধিক অহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। কে শোনে কার কথা, অসংখ্য বার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভেকু ও কাঁকড়া চালকদের জেল জরিমানা হলেও আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে বহাল তবিয়তে ফসলী জমি উজার করে চলছে।
একেত রৌমারী নদী বিধৌত নীচু অঞ্চল এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফসলী জমি ধ্বংস করছে এযেন রৌমারী বাসির জন্য অসনী সংকেত। যারা মাটি বিক্রি করছে ওরা ক্রেতা ও বেকু চালকদের কৌশলের কাছে জিম্মি। জমির মালিক কোন কোন ক্ষেত্রে জমি লেবেল করার লক্ষ্যে বালি মাটি সরিয়ে ফসল হওয়ার করলেও , পাশের জমি থেকে অনেকটা নিচু করে ফেলে। পরবর্েিত পাশের জমির মালিক একই সমান করতে চাইলে কৌশলে ওটা আবার নিচু করে দেয়।
এমন পাল্টাপাল্টি বানরের পিঠা খাওয়ার গল্পের মত শুরু হয়েছে। এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার হালদার বলেন, ভেকুদিয়ে ফসলী জমি থেকে মাটি কাটা ও অবৈধ কাঁকড়া গাড়ি দিয়ে মাটি বহন সম্পুর্ণ নিসিদ্ধ। ।ইতো পুর্বে কয়েকজনকে জেল ও জরিমান করেছি। তবে এলাকাবাসির দাবী অবৈধ ভেকু ও কাঁকড়া বন্ধ করা হউক।













