দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরাসরি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নানা ধরনের কথাবার্তার মারপ্যাচে বদলে গেছে রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সমসাময়িক আড্ডায় এখন তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি উঠে এসেছে। চায়ের দোকানেও জড় তুলেছে তারেক রহমানের এই বিশেষ সাক্ষাৎকার। দীর্ঘদিন পরে তারেক রহমান সরাসরি মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দেয়ার বিষয়টা এখন প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে তার সাদামাটা জবাব গুলো সাধারণ মানুষের হৃদয়কে আকৃষ্ট করে তুলেছে বলে অনেকের ধারণা। তারেক রহমান নিজেকে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসে এটা তার সকল প্রশ্নের উত্তরে ফুটে উঠেছে। বিবিসি বাংলার এই সাক্ষাৎকার দেশ এবং দেশের বাইরের রাজনৈতিক মহল গুলোতে অনেক কিছু শিক্ষনীয় হিসেবে ধরে নিয়েছে রাজনীতিবিদ্যা। গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে থেকে সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন তারেক রহমান। তিনি সর্বোচ্চ সম্মানিত করে চলেছেন দেশের জনগণকে এটা সেই শুরুর রাজনীতি থেকেই তার সকল বক্তব্যের প্রতি এমন হয়। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস এটা তিনি প্রমাণ করেছেন তার বক্তব্যের মাধ্যমে। নিজেকে কখনো ক্ষমতার চেয়ারে বসাতে চান না তিনি জনগণ যেটা চাই সেটাই হবে এটাই তার প্রধান এবং প্রথম বক্তব্য।
জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনের সফলতা তিনি সকলের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন এবং সকল অংশগ্রহণকারী জনগণ জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে শরিক হয়ে ফ্যাসিবাদী বিলুপ্ত করেছে এটাই ছিল তারেক রহমানের বক্তব্যে। নিজেকে কখনো জুলাই বিপ্লবের মাস্টারমাইন্ড চিন্তা করেনি এই বক্তব্য শোনার পর থেকে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বাহবা দিতে শুরু করেছে তারেক রহমানকে। জনগণ ছাড়া কোন আন্দোলন সফল করতে পারেনা কেউ এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তারেক রহমান। জনগণ যেটা চাই সেটাকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে তিনি যে কথাগুলো উল্লেখ করেছেন সেটাই হলো জনগণের মনের কথা এবং সেটাই বুকে ধারণ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তারেক রহমানের বক্তব্য বিবিসি বাংলায় প্রচারিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন তার এই সাক্ষাৎকার বিভিন্ন জায়গায় বড় ডিসপ্লের মাধ্যমে প্রচার করে জনগণকে সোচ্চার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে সাধারণ মানুষ পথে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানের এই বক্তব্যকে মন দিয়ে শুনতেছে এবং বোঝার চেষ্টা করতেছে। তারেক রহমান এখন জাতীয় নেতা থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতা হিসেবে বিভিন্ন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠছে বলে অনেকের মন্তব্য।
তারেক রহমান প্রায় সকল বক্তব্যে কাউকে কোন রকম আঘাত মূলক বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি ইতিমধ্যেও তার ধারাবাহিকতায় বিবিসি বাংলায় দেয়া সাক্ষাৎকারের সময় দেখা যায় তিনি খুব সাধারণ ভঙ্গিমায় সকল প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছে এবং বিবিসি বাংলা কর্তৃপক্ষ তার এই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে খুব সাধারণভাবে। একজন নেতার যে গুণাবলী তার সব কিছু রয়েছে তারেক রহমানের কাছে। ওকে দেখে রাজনৈতিক নেতাদের অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। আগামীতে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে তারেক রহমান যে চিন্তা ভাবনা করে আছে তার যদি প্রতিফলন ঘটে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে অনন্য উচ্চতায়। দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা কে নেতৃত্ব দেয়ার মত সকল ধরনের যোগ্যতা তারেক রহমানের রয়েছে এটা স্বীকার করতে বাধ্য অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি। দীর্ঘ সময় নির্বাসনে থেকেও তারেক রহমান যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে তা অনেকের কাছে একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মতামত দিয়েছেন।
বিবিসি বাংলার এ সাক্ষাৎকার দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বদলে দিয়েছে অনেকভাবে। দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলমান রয়েছে তা অনেকটাই বদলে দিতে পারে তারেক রহমানের এই সাক্ষাৎকার। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে দূরে এসে জনগণের কাতারে এসে দেশের জন্য কাজ করার যে মানসিকতা তারেক রহমানের রয়েছে তা যদি অন্যান্য রাজনীতিবিদ ব্যক্তির কাছে থাকে কিছুটা হলেও দেশের আমল পরিবর্তন হবে এবং জনগণের ভাগ্য বদলাতে সহযোগী হবে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে উত্তরণ ঘটতে হলে ভালো মানসিকতার পরিচয় দিতে হবে রাজনীতিবিদদের যার সবটুকুই রয়েছে তারেক রহমানের মধ্যে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সকল গুণাবলী তারেক রহমানের মধ্যে কাজ করে এটা সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবিদদের মতামত। তিনি সবসময় তার বক্তব্যে বলে আসছেন জনগণকে সাথে নিয়ে এবং জনগণ যা চাই তার জন্য কাজ করে যাবেন তিনি। দেশের সকল মানুষ ও রাজনীতিবিদদের উচিত তারেক রহমানের এই আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করার জন্য পাশে থেকে সহযোগিতা করা।













