ঈদের ছুটি চাওয়ায় গাজীপুরের টঙ্গী ও কালিয়াকৈরের দুটি কারখানার পোশাক শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।আজ সোমবার ছুটি বাড়ানোর দাবিতে এই দুই কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
টঙ্গীর হামীম গ্রুপের পোশাক শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারিভাবে ঘোষিত তিনদিনের ছুটির পরিবর্তে শ্রমিকরা ১০ দশ দিনের ছুটি দাবি করে। কর্তৃপক্ষ ৭ দিনের ছুটি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা সোমবার সকালে ১০ দিনের ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
তিনি বলেন, এক পর্য়ায়ে আমাদের উপর নির্যাতন শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে আমাদের ওপর হামলা ও গুলি করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। তাদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর শিল্পা পুলিশ (জোন-২) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন জানান, টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় হামীম গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা সোমবার সকালে ১০ দিন ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে তারা কারখানায় ভাঙচুর করে পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে।
এ সময় পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকে ছুঁড়তে থাকে। এ সময় প্রায় ২০ মিনিটের মতো ওই মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায় আধঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু করে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, সংঘর্ষের সময় শ্রমিকরা আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে জীবন রক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসসেল নিক্ষেপ করে। আহতদের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও করোনা ফোকাল পারসন মো. পারভেজ হোসাইন জানান, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় রাবার বুলেটে আহত ২০ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহত একজন পুলিশ সদস্যকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।