অসুস্থ বাবাকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে ১২০০ কি.মি. সাইকেল চালাল কিশোরী জয়তি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অসুস্থ বাবাকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে দিল্লির কাছাকাছি গুরগ্রাম থেকে ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে জয়তি কুমারি বিহারে পৌঁছায় তাদের নিজের বাড়িতে। টানা সাতদিন সাইকেল চালিয়েছে জয়তি কুমারি।

অসুস্থ বাবাকে নিয়ে এই যে বীরত্ব দেখিয়েছে ১৫ বছরের কিশোরী, তার জন্য সারা ভারতেই প্রশংসার বন্যা। ১২০০ কিলোমিটার পথ! এত লম্বা পথ একজন অসুস্থ পুরুষকে (তার বাবা) পেছনে বসিয়ে সাইকেল চালিয়েছে, এটা অসম্ভব একটি ব্যপার।

কোন মানসিক শক্তিতে বলিয়ান হয়ে কিশোরী জয়তি কুমারি তার বাবাকে নিয়ে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছিল? জয়তি কুমারি জানাচ্ছে যে, সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কোনোভাবেই হার মানবে না। তার জন্য আরেকটি বড় অনুপ্রেরণার বিষয় হচ্ছে, জয়তি তার মা’কে কথা দিয়েছিল যে সে তার বাবাকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছাবেই।

জয়তি কুমারির এই বীরত্বের খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। প্রতিটি মূল ধারার মিডিয়ায় শিরোনাম হয় তার এই খবর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প জয়তি কুমারির সাহসের প্রশংসা করেছে। সর্বভারতীয় সাইক্লিং ফেডারেশন প্রস্তাব দিয়েছে, তাদের জাতীয় ক্যাম্পে সুযোগ দেয়া হবে তাকে।

জয়তি কুমারির সাইকেল চালানোর এই ঘটনায় আরেকটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে আটকা পড়ে ভারতের পরিযায়ী শ্রমিকরা কতটা নিদারুণ সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। প্রতিনিয়তই খবর আসছে, শত শত কিলোমিটার পায়ে হেঁটে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছে। এরই মধ্যে চরম খাদ্যাভাবে মৃত্যুও বরণ করছে কেউ কেউ।

জয়তি কুমারি কিভাবে ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে তার বাবাকে নিয়ে এতদুর পৌঁছালো? জানতে চাইলে বিহারের সিরুল্লি গ্রাম থেকে দি থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জয়তি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম যে, যে করেই হোক নিরাপদে বাবাকে নিয়ে গ্রামে পৌঁছাব। আমার মা আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন।’

এরপর জয়তি বলেন, ‘আমরা এমনকি একটি ট্রাকে করে ৫০ কিলোর মত এগিয়েছিলামও। কিন্তু কোথায় যে তারা নামিয়ে দিয়েছিল, তা মনে নেই। এরপর আবারও সাইকেল চালাতে শুরু করি।’

বাড়িতে পৌঁছার পর মাকে একটাই কথা বলেছিল, সে শুধু ডাল-ভাতই খেতে চায় তখন। এরপরই দিতে চায় লম্বা একটি ঘুম। তবে ওই ঘটনার পর স্থানীয় রাজনীতিক, সাংবাদিক থেকে শুরু করে নানা ধরনের মানুষ তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। কথা বলতে চায়।

জয়তি কুমারি জানিয়েছে, দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়ার কারণে সে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না। কিন্তু তার স্কুলে যাওয়া এবং পড়ালেখা করার স্বপ্ন। যে বীরত্ব সে দেখিয়েছে, তাতেই তার শিক্ষা-দীক্ষার পথ খুলে যাচ্ছে।

তো এই সাহস দেখিয়ে তো এখন দারুণ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে জয়তি। লজ্জা জড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই ভাবতে পারিনি, এতটা বিখ্যাত হয়ে যাবো।’ বার বার প্রশ্ন করায় মেয়েটি বলে, ‘মানুষ সম্ভবত আমাকে নিয়ে বেশি আগ্রহী, আমি একজন মেয়ে বলে।’

 

৭৫ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড বৃষ্টিতে দুবাই বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা

ভারী বৃষ্টি ও তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক শহরগুলোর অন্যতম দুবাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত দুবাই বিমানবন্দর...

Read more

সর্বশেষ

ADVERTISEMENT

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত


সম্পাদক ও প্রকাশক : মাে:শফিকুল ইসলাম
সহ-সম্পাদক : এডভােকেট-মোঃ আবু জাফর সিকদার
প্রধান প্রতিবেদক: মোঃ জাকির সিকদার

কার্যালয় : হোল্ডিং নং ২৮৪, ভাদাইল, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪৯

যোগাযোগ: +৮৮০ ১৯১ ১৬৩ ০৮১০
ই-মেইল : dailyamaderkhobor2018@gmail.com

দৈনিক আমাদের খবর বাংলাদেশের একটি বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে দৈনিক আমাদের খবর, অনলাইন নিউজ পোর্টালটি সব ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচারিত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে এটি একটি।

ADVERTISEMENT
x