
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গলাকাটি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কলম চুরির অপবাদ দিয়ে ১১ শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনিছুর রহমানের (৫০) বিরুদ্ধে। পরে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে তা জানাজানি হলে অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয় ঘেরাও করেন। তারা রাস্তা অবরোধ করে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী শিক্ষক আনিছুর রহমান ৮ম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ক্লাশ নিচ্ছিলেন।
এ সময় তিনি তার একটি কলম চুরির অপবাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিট করেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয় ঘেরাও করেন।
এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের পাশের গাইবান্ধা-ফুলছড়ি রাস্তা অবরোধ করে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন তারা।
পরে খবর পেয়ে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন। পরে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক আনিছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শিক্ষক আনিছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, দুঃখজনক ঘটনা। এ খবর শোনার পরে আমি পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।