
ডেস্ক নিউজঃ
গাজীপুর মহানগর কাশিম পুর থানা ৫নং ওয়ার্ড সরুপাইতলি গ্রামের মোহাম্মদ আলী, পিতা মৃত আব্দুল মান্নান, গং কতৃক ছোট ভাইয়ের বউ ও দোকান কর্মচারীকে মারধর থানায় অভিযোগ ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়ঃ মোঃ হানিফ গত ১০ মাস পুর্বে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে কিডনি জনিত সমস্যার কারণে মৃত্যু বরণ করেন। তার পর হতে কাশিমপুর থানাদিন মাদ্রসা বাজার মেসার্স জিম এন্টারপ্রাইজ নামক হার্ডওয়ার্কের দোকান বাড়ি ও জমি দখল করার পায়তারা চালিয়ে আসছেন মোহাম্মদ আলী গং।
বর্তমানে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করে আসছেন হানিফের স্থী কাকলী আক্তার( ৩৬) ও দোকানের কর্মচারি কামাল উদ্দিন (২৮) কিন্তু মৃত হানিফের আপন বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বিভিন্ন অপবাদ শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন ও মারধর সহ নানাবিধ অত্যাচার করে হানিফের স্থীর কাকলী ও তার সন্তানদের সরিয়ে দিয়ে তার সকল সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে।
এব্যপারে হানিফের স্থী কাকলী আক্তার (৩৬) বলেন, । গত ১১/০২/২০২১ইং তারিখ রাত ০৮ ঘটি কার সময় ১/মোঃ ইমাম হোসাইন (২৪) পিতা মোহাম্মদ আলী, মাতা ফরিদা বেগম,, ২/বকুল হোসেন (৩৫) পিতা মুজাম্মেল, ৩/ মোহাম্মদ আলী (৫৫) পিতা আব্দুল মান্নান সহ ১০/১৫ জন দেশী-ও অস্ত্রসস্র সজ্জিত হয়ে কর্মচারি কামাল উদ্দিনে দোকান বন্ধ করে বাসায় পথরোধ করে মারধর রক্তাক্ত জখম করে ও তার পকেটে থাকা ৫৫ হাজার টাকা মোবাইল ফোন সহ দোকানের চাবি ছিনিয়ে নেয়, আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসিলে তারা আমাকেও মারধর করে, আমাদের ডাক চিৎকারে লোকজন আগিয়া আসিলে এরা পালিয়ে যায়ঃ আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর হতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে দূর্বিষ জীবন পার করছি।
এবিষয়ে কাশিম পুর থানায় হাজীর হয়ে ১২/০২/২০২১ ইং তারিখ একটি অভিযোগ দায়ের করি পরবর্তীতে মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না দুই পক্ষকে নিয়ে একত্রে বসে বিষয়টির সমাধান করে দিবেন বলে জানান কাশিম পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবে খোদা ।
উক্ত অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তা কাশিম পুর থানার উপপরিদর্শক মাইকেল এবিষয়ে কথা বলে নারাজ।
অভিযোগের এবিষয়ে জানতে মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি উক্ত বিষয় টি অস্বীকার করেন এবং উল্টো তার ভাই বউ কাকলী আক্তার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে সংবাদ কর্মিদের সাথে সরাসরি কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি ছেলে মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে যেন বসবাস করতে পারি।