
অনলাইন ডেস্ক:
গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের উদ্ভাবিত বহুল আলোচিত করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের (জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি ডট ব্লোট) অনুমতি মেলেনি সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে।গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে।পরে জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের এই জরুরি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কারিগরি কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেনি এবং জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের নিবন্ধন দেয়নি।’প্রায় এক মাস ধরে গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষে গত ১৬ জুন ওষুধ প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় বিএসএমএমইউ। এর নয় দিন পর আজ প্রশাসন জানাল গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিট কার্যকরী নয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, ২১ জুন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ ভ্যাকসিন ও মেডিকেল ডিভাইস সংক্রান্ত কমিটির একটি সভা হয়। পরে একই কমিটি ২৩ জুনও বৈঠক করে। দুই দিনের এই বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক গাইডলাইনের আলোকে র্যাপিড টেস্ট কিটের সেনসিভিটির সর্বনিম্ন মাত্রা ৯০ শতাংশ নির্ধারিত।এদিকে, ২১ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের উদ্ভাবিত কিটের অনুমোদন দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। এর আলোকে গতকাল গণস্বাস্থ্যকে জানানো হয়েছে তাদের র্যাপিড টেস্ট কিটের সেনসিভিটির সর্বনিম্ন মাত্রা ৯০ শতাংশ নেই, আছে ৬৯.৭ শতাংশ। ফলে এই কিটের অনুমোদন দেওয়া গেল না। যদিও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, যদি এই কিটের উন্নয়ন করে নির্ধারিত মাত্রায় নেওয়া হয়, তবে বিষয়টি আবার বিবেচনা করা যাবে।এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মূল সময় আসবে আগামী জুলাই মাসে। চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে সংক্রমণের ব্যাপকতা থাকবে। এ মাস ও আগামী মাসে তা গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে।’
সরকারের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকার অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনা সমস্যার কীভাবে সমাধান করা যাবে, সেটা সরকারের চিন্তার মধ্যে নেই।’আলোচনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মহিবুল্লাহ খোন্দকার বিএসএমএমইউর সুপারিশের এক সপ্তাহ পরও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কিটের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বলে অভিযোগ তোলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এবারের বাজেট হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাজেটে করোনা মহামারি মোকাবিলার বিষয়টিই নেই। এটা একটা অদ্ভুত, অবাস্তব বাজেট হয়েছে।’