
গাজীপুরের শ্রীপুরে গতকাল রবিবার দিবাগত রাত দশটার দিকে উপজেলার জৈনা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের নগর হাওলা এলাকায় কিশোর চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন শ্রীপুর থানা পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিফ্রিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুইয়া। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ।
নিহত কিশোর হাবিবুর রহমান দুখু (১৩) সিলেটের সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের বোগলা ইউনিয়নের গাছগড়া এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে। সে তার পরিবারের সাথে নগর হাওলা গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিক্সা চালাত ।গ্রেপ্তারকৃতরা হল, উপজেলার নগর হাওলা গ্রামের অহিদ মিয়ার ছেলে মৃদুল (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানার বোরচড় গ্রামের খালেকের ছেলে আমিরুল ইসলাম (১৮)। মৃদুল পেশায় অটোচালক আর আমিরুল ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী।
শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুইয়া এক বিফ্রিং এ জানান, হত্যকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল ফোন মরদেহের পাশেই পড়ে ছিল । সেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রথমে নিজ বাড়ি থেকে মৃদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ, পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আমিরুলকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত মৃদুল পেশায় অটোচালক মাঝে মাঝে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। আমিরুল ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী। তারা দু’জনে পূর্ব পরিচিত। আমিরুল মৃদুলকে প্রলুব্ধ করে অটোরিক্সা চুরি করে এনে দিতে পারলে প্রতি রিক্সার জন্য তাকে ৫০ হাজার টাকা দিবে। টাকার লোভে মৃদুলও রাজী হয়। কীভাবে চুরি করবে তারা দু’জনে মিলে সেই পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক মৃদুলকে একটি ছুরি দেয় আমিরুল এবং কম বয়সী অটো চালককে টার্গেট করে। রবিরার রাতে মৃদুল নগরহাওলা কারখানার মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী ধনুয়া গ্রামে যাবার কথা বলে দুখুর অটোরিক্সায় উঠে।
এক পর্যায়ে ওই নির্জন স্থানে গিয়ে মৃদুল কৌশলে দুখুকে অটো থেকে নামায়। দুখু নামতেই মৃদুল কোমর থেকে ছুরি বের করে দুখুর গলায় আঘাত করে । দুখু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সে অটোরিক্সা নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় চলে যায়। সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।