
মিজানুর রহমান , সিংগাইরঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গ্রাজ্যুয়েশন করেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন চাকুরির সন্ধান না করে নিজের প্রচেষ্টা, দৃঢ় প্রত্যয় ও প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিলতিল করে গড়ে তুলে দূর্ভেদ্যকে ভেদ করে অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে পেয়েছেন সাফল্যের চাবিকাঠি।
হাজারো বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পথ প্রদর্শক সেই যুবকের নাম মোয়াজ্জেন হোসেন (৩২)। মোয়াজ্জেন জেলার সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভাটিরচর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মোল্লা পরিবারের সন্তান। তার বড় ভাই আল্ আমিন বর্তমান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় সদস্য। বড় বোন জামাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকুরিরত।
সরকারি চাকুরিতে সব কিছু ঠিকঠাক হওয়া সত্বেও করেননি তিনি সে চাকুরি। একে বারেই নিজের উদ্যোগে নিজের মেধা ও প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে এখন তিনি একজন সফল মৌচাষী।
গত ২০ জানুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি-জামির্ত্তা চকে ভাসমান তাবু টানিয়ে বিস্তীর্ণ শরিষা ক্ষেতের আইলে সাজানো রয়েছে তার মৌ বক্স।
এই মৌ বক্সের মাধ্যমে তিনি সংগ্রহ করছেন শরিষা ক্ষেতের ফুলের মধু। সেই মধু সংগ্রহ করে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানির নিকট। তাছাড়া খুচরাভাবেও এলাকার লোকজনের নিকট বিক্রি করছেন। তার এ খামারে কাজ করছে ২ যুবক। তার এ খামারটি ‘মোল্লা মৌ খামার’ নামে পরিচিত।
এখানে তিনি থাকবেন জানুয়ারি কিংবা ফেব্রæয়ারি মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপরই গন্তব্য বদলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন ধোনিয়া, কালোজিরা, গেওয়াসহ বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করতে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল অর্থাৎ সুন্দরবনেও যান তিনি মধু সংগ্রহ করতে। এ বছর এখান থেকে প্রায় ২ মাসের মধ্যে আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকার।
ফুল থেকে মধু সংগ্রহের কাজ করে অর্থনৈতিকভাবে বেশ সাবলম্বী স্বীকার করে ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেন বলেন, আসলে দেশের সরকারি বেসরকারি চাকুরি থেকে আমার নিজের ব্যবসা নিজে করার মধ্যে বেশ আনন্দ উপভোগ করতে পারি।