
বাংলাদেশি মার্ক সাকারবার্গ ওরফে সায়েমের ফাঁদে পড়েছেন লাখো তরুণী। যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে পমপম নামের একটি গ্রুপ থেকে পর্নোগ্রাফি ও নিষিদ্ধ ছবি-ভিডিওর ব্যবসা করতো সে। আরাফাত নামের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জালে ধরা পড়ে সাইবার অপরাধী সায়েমসহ ৯ জন।
সোমবার (২২ মে) মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এ তথ্য জানান। সিআইডি প্রধান জানান, টেলিগ্রামের (মোবাইল অ্যাপ) ব্যবহারে চক্রটি অপকর্ম করে আসছিল। এ কাজে জড়িত মূলহোতাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে হাজারো কোমলমতি তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করে তাদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, চক্রটির নেতৃত্ব দেয় মার্ক-সাকারবার্গ নামের এক ব্যক্তি। শুরুতে খুবই চতুর এই মার্ককে চিহ্নিত করা সহজ ছিল না। আমরা প্রযুক্তির সহায়তায় তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। তিনি জানান, মার্কের আসল নাম আবু সায়েম। সে থাকে চট্টগ্রামে। এনআইডি অনুযায়ী তার বয়স ২০ বছর। সে শ্যামলী পলিটেনিক ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম থেকে ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা করেছে। তার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মার্ক ওরফে সায়েমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, সায়েমের মোবাইল তল্লাশি করে মার্ক সাকারবার্গ আইডিটি অ্যাকটিভ পাওয়া গেছে। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে আবু সায়েমই মার্ক সাকারবার্গ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পমপম গ্রুপের যতগুলো চ্যানেল এবং গ্রুপ আছে তার অ্যাডমিনদের আসল নাম-পরিচয়ও উঠে আসে। সিআইডি প্রধান জানান, পমপম গ্রুপের অ্যাডমিনদের কাজ ছিল মার্কের হয়ে নতুন নতুন কন্টেন্ট যোগাড় করা। নতুন কন্টেন্ট পেতে তারা ফেক এনআইডি বানিয়ে টার্গেটের ফেসবুক বা ইনস্টগ্রাম আইডি হ্যাক করতো।