
বাংলাদেশ রেলওয়ে বহরে নতুন সংযোজনতব্য আধুনিক লাগেজ ভ্যানে কৃষিজাত পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । আজ শনিবার (৯ই জানুযারি) বেলা ৩টার সময় জীবননগর উপজেলার উথলী রেলস্টেশন চত্বরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের (রাজশাহী) মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ’র সভাপতিত্বে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ হাজী আলী আজগার টগর। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামান।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার আহছান উল্যা ভূঞাঁ ।
এ সময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, “আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ নানা ধরনের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে যা বিক্রি করার জন্য অনেকেই ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে যান। কিন্তু পরিবহন খরচের কারণে অনেক সময় চাষীরা তাদের কাঙ্খিত লাভের দেখা পায়না। এই সুযোগটা আদায় করে এক ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী। কিন্তু আমরা যদি ট্রেনের মাধ্যমে এখান থেকে এসব কৃষিপণ্য বহন করে বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারি তাহলে চাষীদের পরিবহন খরচ অনেক কম হবে।
সেইসাথে পণ্যগুলো ও অনেক ভালো থাকবে”।রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামান বলেন, “অত্র এলাকার মানুষজন কাঁচামাল বহনের জন্য শুধুমাত্র ট্রাকের উপর নির্ভরশীল। পণ্য বহনের জন্য সবচেয়ে কম খরচের মাধ্যম হলো নদীপথ। নদীপথের পরেই কম খরচের মাধ্যম হলো রেলপথ৷ কিন্তু আপনাদের এলাকায় নদীপথে যোগাযোগের মাধ্যম না থাকায় আপনারা ট্রাকে করে পণ্য বহন করে থাকেন। যাতে পরিবহন খরচ অনেক বেশী হয়। এজন্য আমরা এখান থেকে রেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করার ব্যবস্থা চালু করতে চাচ্ছি। তাহলে আপনাদের পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে। এই লাগেজ ভ্যানে সবুজ শাকসবজি, মৌসুমী ফল, ফুল ও অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য (মাছ, মাংস, দুধ) পরিবহনের সুবিধা রয়েছে। আমরা এজেন্টের মাধ্যমে এসব কৃষিপণ্য পরিবহন করবো।
আশা করি আপনারা এই লাগেজ ভ্যানে এসব পণ্য পরিবহন করলে আগের তুলনায় অনেক লাভবান হবেন”। এছাড়া তিনি উপস্থিত জনসাধারণের কাছ থেকে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়ে নানা প্রশ্ন শোনেন এবং তার উত্তর দেন।রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামান বলেন, “অত্র এলাকার মানুষজন কাঁচামাল বহনের জন্য শুধুমাত্র ট্রাকের উপর নির্ভরশীল। পণ্য বহনের জন্য সবচেয়ে কম খরচের মাধ্যম হলো নদীপথ। নদীপথের পরেই কম খরচের মাধ্যম হলো রেলপথ
কিন্তু আপনাদের এলাকায় নদীপথে যোগাযোগের মাধ্যম না থাকায় আপনারা ট্রাকে করে পণ্য বহন করে থাকেন। যাতে পরিবহন খরচ অনেক বেশী হয়। এজন্য আমরা এখান থেকে রেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করার ব্যবস্থা চালু করতে চাচ্ছি। তাহলে আপনাদের পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে। এই লাগেজ ভ্যানে সবুজ শাকসবজি, মৌসুমী ফল, ফুল ও অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য (মাছ, মাংস, দুধ) পরিবহনের সুবিধা রয়েছে।
আমরা এজেন্টের মাধ্যমে এসব কৃষিপণ্য পরিবহন করবো। আশা করি আপনারা এই লাগেজ ভ্যানে এসব পণ্য পরিবহন করলে আগের তুলনায় অনেক লাভবান হবেন”। এছাড়া তিনি উপস্থিত জনসাধারণের কাছ থেকে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়ে নানা প্রশ্ন শোনেন এবং তার উত্তর দেন।নতুন সংযোজনতব্য আধুনিক লাগেজ ভ্যানে কৃষিজাত পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত অংশীজন সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. মুনিম লিংকন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম, জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান, সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিলউদ্দিন কফিল, সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহম্মেদ প্রদীপসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কাঁচামাল উৎপাদনকারী স্থানীয় চাষী, ব্যবসায়ীসহ সর্ব-শ্রেণি পেশার মানুষজন।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার উথলী রেলস্টেশন একটি ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশন। রেলস্টেশনের আশেপাশে রেলওয়ের অনেক সম্পত্তি রয়েছে যা অত্র জেলার আর কোন স্টেশন এলাকায় নাই। এজন্য উথলী রেলস্টেশন থেকে জীবননগর উপজেলা ও এর আশপাশের এলাকায় উৎপাদিত নানা ধরনের কৃষিজাত পণ্য কম খরচে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেলের অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানে পরিবহনের জন্য এই অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ট্রেনটি খুলনা থেকে ছেড়ে এসে যশোর স্টেশনে থেমে পরবর্তীতে বারোবাজারে আসবে। এবং এই পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে বড় এলাকা হিসেবে বারোবাজারকে ধরা হচ্ছে। তারপরেই ট্রেনটি উথলী স্টেশনে এসে থামবে এমন পরিকল্পনায় ট্রেনটি চালু করা হবে বলে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।