জয়পুরহাটে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দাদা জামাল উদ্দিনের (৫৫) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার পর সদর উপজেলার ভাদসা পার্বতীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকালে গ্রাম পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন। এ ঘটনায় থানা মামলা দায়ের হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ভাদসা পার্বতীপুর গ্রামের নার্সারী পড়–য়া শিশু ছাত্রী বাড়ির পাশে সহপাঠীদের সাথে খেলা করছিল। এসময় একই গ্রামের প্রতিবেশী দাদা জামাল উদ্দিন, তার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীটির হাত ধরে টেনে নিজ বাড়িতে টয়লেটের ভিতরে নিয়ে গিয়ে পড়নের কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির সময় তার মা দেখেন প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে দৌঁড়ে বেড়িয়ে আসতে। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে শিশুটি ভীতু হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে ঘটনার কথা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আশরাফ আলী বলেন, শিশুটির ঘটনার সংবাদ পেয়ে জামালের বাড়িতে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে জামাল দ্রæত অন্য পথ দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের নিকট থেকে জানলাম, শিশুটিকে জামাল টেনে নিয়ে তার বাড়ির পায়খানার ভিতর ঢুকে নিয়ে সেখানে কামড়া-কামড়ি, পেন খোলা, মানে বেজ্জতি অবস্থা করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এর আগেও এরকম ঘটনা জামাল ঘটাইছে। কিন্তু তারা প্রতিবেশী হিসেবে এর আগে বিষয়টি খোলাসা করেনি। আজকে আবার এ ঘটনা ঘটাইছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার হোক, সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্ত বাড়ীতে গেলে তাকে না পেলে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, এ ঘটনা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র।
স্থানীয় ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, সোমবার দুপুরে শিশুটির পরিবার আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। ঘটনা শুনে দেখলাম শিশু নিপীড়নের বিষয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ অভিযোগ নেওয়া হয়নি। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে তাদের থানায় গিয়ে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ শাহ্রিয়ার খাঁন বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে ও আসামী গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে।