
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার প্রত্যঞ্চলে গরু খামারিদের মাথায় হাত। বর্তমানে গো-খাদ্য খড়ের দাম আকাশ ছোঁয়া, খড়ের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে খামারিদের খামার বন্ধ করে দেয়াছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না । সরেজমিনে বিভিন্ন হাটবাজার ও খামার ঘুরে দেখা গেছে অনেক খামারি কোন চাকরি না পেয়ে আশায় বুক বেঁধে গরুর খামার শরু করেছে ,শুরুতে ভালই চলছিল খামার গুলো কিন্তু বর্তমানে খড়সহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ভাবছে খামার বাদ দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাওয়ার।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ, হরিপুর, লাড়িহী বাজার, নেকমরদ বাজার, যাদুরানি বাজার, কাতিহার বাজার, বড় খোচাবাড়ি বাজার, গড়েয়া বাজার, রামতাথ হাট রুহিয়া বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর এসময় মাঝারি আকারের ধানের আঁটি (খড়) দামছিল ২৫০ টাকা-থেকে ৩০০ টাকা পৌন বর্তমানে প্রতি পেনৈ খড় ৩৫০-টাকা থেকে ৪০০‘শ টাকায় একহাজার খড়ের দাম (৫ পাঁচ হাজার টাকা) বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভুষি, ও দুধের দামও দ্বিগুন কেড়েছে। খড়ের দাম দ্বিগুন হওয়ায় অনেকেই খড়নাকিনেই বাড়ি ফিরছেন।
হাটে খড় কিনতে আসা গুয়াপাড়া মহল্লার গরু খামাড়ি তৈয়ব আলী জানান, ধানের খড়ের এতোদাম যে গরু পোষা দুরুহ হয়ে পড়েছে। তার তিনটি গরু অন্যদিকে কিসমত আলী পোকার দুইুট গরু বর্গা (আধি) নিয়ে লালন পালন করছেন, তার অনেক আশাছিল গরুগুলোকে একটু স্বাস্থ্যবান করে করবানি ঈদের (ঈদুল আজহা ‘র সময় বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় করার । বর্তমানে গরুর খাবারের যা দাম তাতে সেটা আর হচ্চ্ছেনা। এখনই গরুদুটি বিক্রি করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ঘনিমহেষপুর মহল্লার গরুখামারি এনামুল হক দুই পৌন খড় কিনেছেন ৮‘শ টাকায় তিনি জানান, দাম আর যাই হোক, তার খমারে ৫/৬ টি গরু খাবার তাকে কিনতেই হবে। তানাহলে গরুগুলো বাঁচানো যাবেনা ।
অন্য খামারি আসাননগর গ্রামের রিপন সরকার জানান , গত বছর বন্যার কারণে ধানক্ষেত ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এবার ধানের খড়ের দাম এত দাম দিয়ে আমাকে কিনতে হচ্ছে।