আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আট বছর আজ। কারখানাটির সামনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন ও টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার ( ২৪ নভেম্বর ) প্রথম প্রহরে কারখানাটির ফটকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, বাংলাদেশ শ্রম ইন্সটিটিউটসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, আজ তাজরিন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডের আট বছর পূর্তি হলো।
ওই দিন অনেক শ্রমিক হতাহত হয়েছে। এখনো ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনডাপন করছে। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের আজও পুনর্বাসনে কোন উদ্যোগ নেয়নি সরকার ও বিজিএমইএ সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি তপন সাহা বলেন, ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কতৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এঘটনার আট বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি।
এতে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টি স্পষ্ট। এ কারণে পরবর্তীতে রানা প্লাজা ধসে আবারো হতহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাজরিনে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক দাবি আদায়ে অনশন করলেও সরকার ও সংশ্লিষ্টরা কর্ণপাত করছে না।
তিনি আরো বলেন, তাই অবিলম্বে তাজরিনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হোক। পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানাই।
এর আগে গত ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বরের আজকের এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ১১৩ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
ঘটনায় আহত হন অনেকেই। আহত ও নিহতদের বেশিরভাগ শ্রমিকই ছিল নারী পোশাক শ্রমিক।