বিয়ে বানিজ্যে সেরা বগুড়ার মিলন আক্তার মুন্নী “টার্গেট প্রবাসীদের

অনলাইন, রেজিষ্ট্রি,কিংবা কোর্ট মেরেজ বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, প্রতারণা-জালিয়াতি সহ ভুক্তভোগীদের মিথ্যা মামলায় ফেলে হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া জেলার গাবতলি থানার মাসুন্দি -নরদা গ্রামের বহুলালোচিত মিলন আক্তার ওরফে মুন্নীর বিরুদ্ধে।

তার ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।

তার প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাকে গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী কাতার প্রবাসী।

কাতার প্রবাসী মোঃ মিঠু ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা পটুয়াপাড়া গ্রামের মৃত কলিমউদ্দিনের ছেলে।

জানা যায় বগুড়া জেলার গাবতলি থানার সুখান পুকুর ইউনিয়ন নরদা – – মাসুন্দি গ্রামের মৃত মজনু প্রামাণিকের মেয়ে মোছাঃ মিলন আক্তার ওরফে মুন্নী। মুন্নী এ পর্যন্ত ৩ এর অধিক বিয়ে করেছেন। বিয়ে করে কিছুদিন পর সেই স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া এবং তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে নগদ টাকা সহ স্বর্ণ অলংকার হাতিয়ে নেওয়াই তার ব্যবসা।

তার মূল টার্গেট সম্পদশালী , উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী ও প্রবাসী পুরুষ। ওই নারী প্রথমে টার্গেট নিশ্চিত করে, এরপর ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজ দেহের সৌন্দর্য ও কথা মালার মারপ্যাঁচে আটকে ফেলেন টার্গেটকৃত পুরুষদের।

তথ্য সুত্রে আরও জানা যায় , আনুমানিক ২০০৭-৮ সালে মিলন আক্তার মুন্নীর প্রথম বিয়ে হয় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানা হরিণাবাদ গ্রামের চাকুরী জীবি মোঃ শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। মিলনের বয়স ছিলো তখন ১৫ বছরেরও কম।

কয়েক বছর যেতে না যেতেই নানা তালবাহানায় স্বামীর ঘর ছাড়েন তিনি। তার উশৃঙ্খল জীবনযাপন এবং স্বামীর প্রতি শারীরিক অক্ষমতার মত বহু অভিযোগ এনে বিচ্ছেদ ঘটায় মিলন আক্তার মুন্নী।

তার দ্বিতীয় বিয়ে হয় ২০১৫ সালে বগুড়া জেলার গাবতলি সুখান পুকুর মাদুন্দি গ্রামের মোঃ বিশু মিয়ার সঙ্গে। সেখানেও বেশিদিন সংসার হয়নি মিলন আক্তারের। উশৃংখল জীবন যাপন, পরপুরুষের সাথে মিলামেশা বদমেজাজি নানা কারণে একটি মেয়ে সন্তান নিয়ে বিচ্ছেদ হয় বিশুর মিয়ার সাথে। যার মেয়ে সন্তানের বয়স এখন ৬-৭ বছর নাম কথা মনি।

জানা যায় ছোট মেয়ে কথা মনি কে নানীর কাছে রেখে বিগত কয়েকবছর পূর্বে বড় বোন মর্জিনার সঙ্গে পারি জমান ঢাকার আশুলিয়া সরকারমার্কেট এলাকায়।

আশুলিয়া এসে নাম মাত্র ৭০০০( সাত) হাজার টাকা বেতনে হা-মিম গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক তৈরির কারখানায় নিজের নাম পরিবর্তন করে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী নেন মিলন আক্তার।
সেই সুবাদে পরিচয় হয় অনেকের সাথে। চাকুরীর পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তি এন্ড্রুয়েট মোবাইল ফোনে খুলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক আইডি।

আর সেই ফেসবুক, টিকটক থেকেই প্রতারণার উত্থান শুরু মিলন আক্তার মুন্নীর। নিজের চেহারার কারিশমা ভিন্ন ভিন্ন চুলের স্টাইল আর নানা অঙ্গভঙ্গিতে মন কারেন যে কোন বয়সী পুরুষের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে কুমারী এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে গড়ে তুলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এরপর প্রেম। এভাবেই একাধিক পুরুষকে নিঃস্ব করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে মিলন আক্তার মুন্নীর বিরুদ্ধে ।
কখনো কুমারী কখনো তালাকপ্রাপ্ত কখনো বা নিজেকে বিধবার পরিচয় দিয়ে অনেক পুরুষের কাছে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ তাঁর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন কাতার প্রবাসী মিঠু।

প্রবাসী মিঠু একটি ভিডিও বার্তায় বলেন। আমি কাতারে থাকা অবস্থায় গত ৫ বছর পূর্বে ফেসবুক বন্ধুত্বের মাধ্যমে আমার সাথে পরিচয় মিলন আক্তার মুন্নীর সঙ্গে। তখন তাঁর নাম শুধু মু্ন্নী আক্তার বলেই জানতাম আমি এবং নিজকে কুমারী ও গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে আমার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে।

প্রায় এক মাস কথা বলার পর আমাকে সে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আর আমিও সরলমনে তা গ্রহন করি
এরপর মাত্র তিন মাসের সম্পর্কে অনলাইনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় আমাকে। তখনও বিন্দু পরিমাণ বুঝতে পারিনি আমি তাঁর প্রতারণার ফাঁদে পরেছি। একপর্যায়ে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কাতারে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হলো আমাদের। তার কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হলো নানান আবদার বিয়ের গয়নার নামে স্বর্ণের চেইন আংটি চুরি ও শপিংয়ের নামে নগদ ৩০ হাজার টাকা সহ মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার জিনিস পত্র হাতি নেয় আমার কাছ থেকে।

এভাবে কাটে ছয় মাস, পরে আমি ছুটিতে বাংলাদেশে আসি এসে তাঁর ঘরে ১ লাখ টাকার ফার্নিচার আসবাব পত্র কিনে দিই। এবং ছুটি শেষে কাতারে ফিরে আসার সময় সংসার খরচ বাবদ লাখ খানিক টাকা হাতে দিয়ে আসি। এভাবে প্রথম এক বছর আমার কাছে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা না দিলেই আমাকে মানসিক ভাবে টর্চারিং করতো ওই নারী এবং কি ডিভোর্স পেপার ও পাঠিয়ে দেয় আমাকে।

আমি তখন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আবার দেশে ফিরে আসি এসে দেখি সে (মুন্নী) ওই ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্য বাসাভাড়া নিয়েছে। আমি খুঁজতে থাকি এবং তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি একপর্যায়ে তার নাম মুন্নী নয় মিলন আক্তার ও পেশায় একজন সিকিউরিটি গার্ড এবং এর আগেও সে অনেকের সাথে এমন প্রেমের সম্পর্ক করেছে ২-৩ টা বিয়েও হয়ে ছিল তাঁর একটি ৭ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে এসব শোনার পর আকাশ ভেঙে যেন আমার মাথায় পড়লো, এবং আমি সব কিছু জেনে যাওয়ায় সে আমার নামে আশুলিয়া থানায় একটি হয়রানি মূলক মিথ্যা অভিযোগও দায়ের যদি সেসময় অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল।

এতকিছুর পরও আমি তাকে মেনে নিবো বলে তাঁর বাড়িতে জানায় পরে আবার শর্ত সাপেক্ষে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর নগদ বুঝে দিলে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে রাজি হয়।আসলে আমি সত্যিই তাকে ভালোবাসতাম তাই তাঁর সব শর্তে রাজি হয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর নগদ দিয়ে বিয়ে করি। সেখানেও আমার সাথে প্রতারণা করেছে কাজীর সরকারি রেজিষ্ট্রি খাতায় সকল দেনমোহর পরিশোধ না লেখে বাকী লেখেছে। এভাবে একের পর এক প্রতারণা করে গেছে আমার সাথে।

 

সর্বশেষ আমার কাছ থেকে বাড়ি বানানো ও আবাদি জমি কিনার জন্য ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে আবারও তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে। ওই নারীর ফাঁদে পরে আমি এখন নিঃস্ব প্রায় এমন অবস্থায় আমি দেশের প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীদের বলতে চাই আমার মত যেন আর কোন প্রবাসী এমন প্রতারণার শিকার না হয় আমি একজন প্রবাসী সকলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এবিষয়ে মিলন আক্তার মুন্নীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এবং তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বড় বোন মর্জিনা উল্টো কাতার প্রবাসী মিঠুকে দোষারোপ করেন। তবে মিলন আক্তার মুন্নীর বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান মিলনের এমন কার্যকলাপের কারণে তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেনি তাঁরা প্রায় ৫ বছর হয়েছে তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই তাঁর ও পরিবারের লোকজনের।
( প্রথম পর্ব)

ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আইসিসি। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে...

Read more

সর্বশেষ

ADVERTISEMENT

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত


সম্পাদক ও প্রকাশক : মাে:শফিকুল ইসলাম
সহ-সম্পাদক : এডভােকেট-মোঃ আবু জাফর সিকদার
প্রধান প্রতিবেদক: মোঃ জাকির সিকদার

কার্যালয় : হোল্ডিং নং ২৮৪, ভাদাইল, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪৯

যোগাযোগ: +৮৮০ ১৯১ ১৬৩ ০৮১০
ই-মেইল : [email protected]

দৈনিক আমাদের খবর বাংলাদেশের একটি বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে দৈনিক আমাদের খবর, অনলাইন নিউজ পোর্টালটি সব ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচারিত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে এটি একটি।

ADVERTISEMENT
x