
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়ার সময়ে বিস্ফোরণে হতাহত প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান আজ রোববার এ আবেদন করেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। এরপর তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন আরো পাঁচজন।
এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত ৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট তৈমূল আলম খন্দকার। তিনি নিহত ও আহত প্রত্যেক পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বতপ্রণোদিত নির্দেশনা জারির জন্য আবেদন জানান। তবে আদালত স্বতপ্রণোদিত আদেশ না দিয়ে ওই আইনজীবীকে লিখিতভাবে আবেদন (রিট আবেদন) করার পরামর্শ দেন।
এ অবস্থায় পরের দিন ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দাখিল করেন তৈমূর আলম খন্দকার।রিট আবেদনে বলা হয়, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা গ্যাস লাইনের লিকেজের বিষয়টি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। কিন্তু তিতাস গ্যাসের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা লাইন মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।