
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে কয়েকশো ঘর।সোমবার (৭ জুন) ভোর আনুমানিক ৪ টার দিকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।সাথে বস্তি বাসিরাও ফায়ার কর্মীদের সাথে আগুন নিভাতে কাজ করেন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই পুরে ছাই হয়ে গেছে কয়েকশ ঘর ও দোকানপাট।তবে এই ঘটনায় এখনো কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বস্তিতে অবৈধ গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগ রয়েছে।প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাস বা বিদুৎ সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বাতাস থাকার কারণে আগুন দ্রুত এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ছরিয়ে পরে।একেই কারনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা বেগ পেতে হয়।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের একে একে ১৮ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সাথে বস্তিবাসীরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতা করে। তাদের যৌথভাবে প্রায় আড়াই ঘন্টার কঠোর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুড়ে গেছে কয়েক শ ঘর ও দোকানপাট।
ভয়াবহ এই আগুন নেভাতে পার্শ্ববর্তী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ বিভিন্ন জলাশয় থেকে পানি আনছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়া এক নারী বলেন, শুধু কোলের বাচ্চাটাকে নিয়ে বের হতে পারছি, আমার সব পুড়ে গেল। আমার সব শেষ হয়ে গেল। আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, আমার বাড়ির সব পুড়ে গেছে, আমি নিজে আজকে লাশ হয়ে যেতাম,আল্লাহ আমাকে বাচিয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও বস্তির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় এখনো ধোয়া দেখা যাচ্ছে। সাততলা বস্তিতে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার ঘর ছিল। বেশিরভাগ স্থাপনাই এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।