
আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক দৈনিক সময়ের কাগজের নিজস্ব প্রতিনিধি ও গ্লোবাল টেলিভিশনের আশুলিয়া প্রতিনিধি মাসুদ রানা ও তার সহকর্মী শফিকুল ইসলামেরকে দীর্ঘদিন যাবৎ হুমকী ধামকির পর গত ২৫-৫-২২ইং রমজানের সময় ইফতারের দাওয়াতে ক্লাবে প্রবেশের সময় অর্তকিত হামলার ঘটনায় আদালতে শাহ আলম, নূরে আলম সিদ্দিকী মানু, আসাদুজ্জামান লিটন , মোহাম্মদ আলী সিমান্ত সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুদ রানা জানান, শাহ আলম আমাকে এর আগেও বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
সর্বশেষ গত ২৩-৫-২২ইং তারিখে ক্লাবে প্রবেশের সময় সে ও তার ৫/৭ জন সঙ্গীয় মিলে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার সহকর্মী শফিকুল ইসলাম কে মারাত্মক ভাবে মেরে আহত করে। বিষয়টি তৎক্ষনাৎ ৯৯৯ কল করলে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। পরে আমাদের সহকর্মীরা আমাদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে,আমরা চিকিৎসা শেষে বাসায় অবস্থান করি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় আমি মামলা করতে গেলে স্থানীয় আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক লাইজু আহমেদ, খোকা মাহমুদ চৌধুরী সহ বেশ ক’জন আমাকে মামলা না করে শাহ আলম ও আমাকে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দিতে বলে এবং তারা বিষয়টি সুরাহ করবে বলে জানান।
কিন্তু তাদের কথা মতো লিখিত অভিযোগ দিলেও শাহ আলম আশুলিয়া প্রেসক্লাবের নির্দেশনা কে অমান্য করে পরদিন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে কিছু খেটে খাওয়া মানুষ কে ভাড়া করে এনে মানববন্ধনের নামে একটি নাটক করে এবং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে আমাদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার নোংরা খেলায় মেতে উঠে। যারফলশ্রুতি আমি আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি।
জানাযায়, ২০/২১ সালের সালে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের নির্বাচনে জয়লাভ করে শাহ আলম নানা অসাংগঠনিক কার্যক্রম, ক্লাবের নামভাঙ্গীয়ে চাঁদাবাজী সীমাহীন দুর্নীতি সেচ্ছাচারিতা, নতুন সদস্যদের থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের ক্লাবের সদস্য না করা, নিজের ভাই ও ছেলে কে দিয়ে ক্লাবের সিনিয়র সদস্য সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সাবেক কোষাদক্ষ শফিকুল ইসলাম সহ ও সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার বাবুল খানের উপরেও হামলা করে তাদের মারাত্মক ভাবে আহত করে।
ক্লাবের সভাপতি পদটি আজীবন ধরে রাখার লক্ষে নানা রকম অসাংগঠনিক পন্থা অবলম্বন করে চলেছে। শাহ আলম গংদের নানা মুখি অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের খবর ইতিমধ্যে অত্র অঞ্চলের সিংহভাগ ব্যাক্তিবর্গ অবহিত।
উল্লেখ্য চলতি বছরের মার্চ মাসের ৭ তারিখে অত্র ক্লাবের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হবার পরে সংগঠনের গঠণতন্ত্র সংশোধন ও সদস্য বাদ দেয়া সিনিয়র সদস্যদের অসাংগঠনিক উপায়ে পেশিশক্তি ব্যবহার করে তাদের বহিষ্কার সহ নানা বির্তকিত একক সিন্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সভাপতি পদটি দখল করতে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড করে শাহ আলম । এ ছাড়াও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।