আমিনুর রহমান:
সিংগাইরে অসহায় ৩ টি পরিবারের মাঝে যুবদল নেতা আতিকুর রহমান হেলাল খাদ্য ও ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংগাইরের চর-চান্দহর গ্রামের লেহাজ উদ্দিন, তাজুল ইসলাম ও দীন ইসলাম নামের লকডাউনে কর্মহীন হয়ে থাকা অসহায় পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সহযোগীতা করেন তিনি। খাদ্য সহযোগীতার মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ১ লিটার তেল এবং ঈদ উপহারের মধ্যে ছিল ১ কেজি চিনি এবং ২পদের ১ কেজি সেমাই।
অসহায়দের পাশে দাড়ানো আতিকুর রহমান হেলাল একই ইউনিয়ন চান্দহরের মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন বকুল মাস্টারের ছোট ছেলে। পিতা বকুল মাস্টার ছিলেন বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী এবং বিএনপির সাবেক শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খাঁন নয়ামিয়ার ঘনিষ্ঠ সহোচর। আতিকুর রহমান হেলালের রাজনীতির হাতেখড়ি নিজ পিতার মাধ্যমেই। রাজনৈতিক জীবনে বহু মামলা-হামলা, কারা বরণ ও ত্যাগ স্বীকার করে সিংগাইরের বিএনপির রাজনীতির একজন পরীক্ষিত শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার সৈনিক।হেলাল বলেন, আমি শহিদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি শিখেছি ছোটবেলা থেকেই বাবার হাত ধরেই। সব সময় চেষ্টা করি অসহায়দের পাশে থেকে সাধ্য মত কিছু করার।
উল্লেখ্য, করোনার প্রভাবে লকডাউনে আটকে থাকা চর-চান্দহরের ৩ টি অসহায় পরিবারের কথা উল্লেখকরে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য বিএনপি নেতা গত বারের চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক পাওয়া পরাজিত প্রার্থী আমজাদ হোসেনকে জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক-এর সিংগাইর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সরদার খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান মুঠোফোনে। জবাবে আমজাদ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে আমি নিজ এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় অসহায়দের খাদ্য সহযোগীতা করেছি।তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ঢাকায় অবস্থানের কারণে এ বিষয়টি পরে দেখা যাবে বলে জানান তিনি।
একই বিষয় যুবদল নেতা হেলাল কে জানানো হলে তিনি অনেকটা সহজেই অসহায়দের খাদ্য ও ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।