
অনলাইন সংস্করণ
ভিডিওতে দেখা যায়, লালমনিরহাট সদর থানার একটি মামলার আসামি পক্ষের কয়েকজন মামলাটির বাদীকে হেনস্থা করার কৌশল জানতে ওসি মাহফুজ আলমের কাছে এসেছেন। কৌশল হিসেবে ওসি’র পরামর্শ মোতাবেক তারা মামলাটির বাদীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও ১০ হাজার টাকা নিয়ে এসেছেন। অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে ওসিকে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাকে আরো ৩ হাজার টাকা দিতে বলেন ওসি মাহফুজ আলম।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওসি মাহফুজ আলম আসামির অবস্থান জানার পরও তাকে জামিন নিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে করোনাকালে ঘুষের টাকা নেয়ার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করতেও ভোলেননি ওসি মাহফুজ।ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রসঙ্গে ওসি মাহফুজ আলম বলেন, আমি বাদী বা আসামির কাছ থেকে কোনো সুবিধা গ্রহণ করি না। আমাকে হেয় করতে কোনো এক পক্ষ ভিডিওটি এডিট করতে পারে।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।