গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাংক বলছে, ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ উপলক্ষে কাতারে ১৫ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয়। এ বিশ্বকাপে কাতারের পর্যটন, হসপিটালিটি, খুচরা, পরিবহনসহ আরো অনেক খাত লাভবান হয়েছে। বিশেষ করে যে বিপুল পর্যটকের ঢল নেমেছে তাতে দেশটি ব্যাপকভাবে লাভবান হবে।
পরের বছর দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘এশিয়ান কাপ-২০২৩’। ফলে পর্যটক বাড়তেই থাকবে। এমনকি ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশটির হোটেল ও হসপিটালিটি খাতে প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ করে হবে। এ খাতের মূল্য দাঁড়াবে ৫৫ বিলিয়ন ডলার। যা কাতারের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখবে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এতে ২০২৩ সালে কাতারে পর্যটক বেড়ে হবে ৫৪ লাখ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ পর্যটক বেড়ে হবে ৭০ লাখ। তবে এই বিশাল আয়োজন করতে কাতার ১১ বছরে অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করেছে ২২৯ বিলিয়ন ডলার।
এ আয়োজন কাতার সরকার ও জনগণের সামনে দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশ ও বিপণনের এক অবারিত সুযোগ এনে দিয়েছে। ফলে ছোট্ট উপসাগরীয় দেশ কাতার এখন পর্যটন ব্র্যান্ড হিসেবে অর্থ উপার্জনের নতুন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে। ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতারকে এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। এ জন্য দেশটিকে সার্বিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রায় ২২ হাজার কোটি থেকে ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়েছে।
অবশ্য কাতারের আর্থিক সক্ষমতা বেশ ভালো। কাতার সরকার চলতি ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১ হাজার ৭৮৫ কোটি ডলার ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২ হাজার ৩৫৪ কোটি ডলার আয় করেছে। কাতারের পর্যটন খাতে চলতি বছরের প্রথম দিক থেকেই সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এ বছরের প্রথমার্ধেই দেশটিতে ৭ লাখ ২৯ হাজার আন্তর্জাতিক পর্যটক এসেছেন, যেটাকে পর্যটনশিল্পের শক্তিশালী হয়ে ওঠার পূর্বলক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ওই সংখ্যা আগের বছরের, অর্থাৎ গোটা ২০২১ সালের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি।
এখন কাতারের অভীষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১২ শতাংশে উন্নীত করা।বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে কাতারের ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে এটিই বিশ্বকাপ আয়োজনে স্বাগতিক দেশের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড।