মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন আগামী ৩০ জুলাই । সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত করা মঞ্চ স্থানীয় এমপি মমতাজ বেগম পরিদর্শন করেন গত ২৭ জুলাই বুধবার । আসন্ন এ সম্মেলন কে ঘিরে পুরো উপজেলা ব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিকট দেখা মিলছে পছন্দের প্রার্থীদের ছবি টাঙ্গিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণা । এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকেও নিত্য নতুন আর্টিক্যাল যোগ করে পছন্দের নেতাদের প্রচারণা চালাচ্ছে অত্র দলের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ।
আসন্ন এ সম্মলনে সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী মোঃ শহিদুর রহমান এবার সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ।
শহিদুর রহমানের পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খান । স্বভাবত কারণেই রক্তে মিশে গিয়েছিল বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ । তাই তো খাটি সোনার চাইতে খাটি আওয়ামী প্রেমে দিওয়ানা শহিদুর রহমান নামে ৯ম শ্রেণীর অকুতোভয়, ডানপিঠে স্বভাবের এক ছাত্রের দেখা মেলে সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ।
১৯৮৭ সাল দেশ ব্যাপী তখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন লাগাতার । অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় বজ্র শক্তিতে প্রত্যক্ষভাবে সেই আন্দোলনে অংশ নেন তিনি । ঐ সময় ১০ নভেম্বর তিনি গ্রেফতার হন এবং ৩ মাস ১০ দিন কারাভোগ করেন । অতপর ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণ করেন এবং গ্রেফতার হয়ে ৪ মাস কারাভোগ করেন । এরপর ১৯৯২-এ বিএনপির শাষনামলে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৫ মাস কারাভোগ করেন ।
১৯৯৩ সনে সিংগাইর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ মনোনীত ভিপি প্রার্থী অবস্থায় গ্রেফতার হন এবং প্রায় ৩ মাস ১৫ দিন কারাভোগ করেন । কারাগারে থেকেই তিনি ভিপি হিসেবে ভোটে নির্বাচিত হন । আর সেই থেকে তাকে সবাই ভিপি শহিদ বলেই চেনেন । ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণ করেন এবং মোট ১৭ টি সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৪ মাস ১৫ দিন কারাভোগ করেন । ওয়ান ইলেভ্যানের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন এবং পুলিশি নির্যাতনসহ গ্রেফতার পূর্বক ২ মাস কারাভোগ বরণ করেন ।
সব মিলে তার জীবনের প্রায় ২৩ মাস কাটিয়েছেন তিনি কারাগারে । ভিপি শহিদুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পদবিতে থাকা বহু নেতাদের এমন বিষাদময় রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেন অনেকেই । সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের যে ক’জন হ্যাভিওয়েট নেতা আছেন ভিপি শহিদ তাদেরই একজন । পুরো উপজেলা জুড়ে রয়েছে তার যশ-খ্যাতি এবং কর্মী সমর্থক ।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে দলের জন্য কি করবেন এমনটা প্রশ্ন করলে ভিপি শহিদ বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, সবাইকে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া হবে দার প্রধান কাজ । বিএনপি জামায়াতের বিরোদ্ধে শক্তভাবে ভিত গড়ে তোলা যাতে তারা কোন সহিংস ও হট্টগোল বাঁধাতে না পারে । সম্মেলন নিয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে হার জিতের কিছু নাই, সবাই আমরা যোগ্যতা সম্পন্ন এবং একই দলের ।
যেই জয়ী হোক তার কাধে কাধ মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা এমপি মমতাজ বেগমের হাতকে শক্তিশালী রাখতে আজীবন আ’লীগের নির্দেশ মতে আছি এবং থাকবো ইনশাহ আল্লাহ্ আজীবন ।