জামালপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি কোথাও কোথাও উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শিলা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইরি-বোরো ধানসহ উঠতি ফসল, নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন শাক-সবজির।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ও বুধবার (২০ এপ্রিল) দুই দিন জামালপুর কালবৈশাখী ঝড়ে তান্ডব চালায়। প্রথম দিন কালবৈশাখী ঝড়ে পৌর শহরের আমলাপাড়া প্রধান সড়কে বৈদ্যুতিক তারের উপর বৃহৎ গাছ ভেঙ্গে পড়ে ২টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ, প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার সকালে জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভোররাতে শরীফপুর ইউনিয়নের বেড়া পাথালিয়া, রঘুনাথপুর, বেপারিপাড়া, শ্রীরামপুর ও গোদাশিমলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক কাচা পাকা ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড় কবলিত এলাকায় রাস্তার উপর গাছপালা পড়ে যোগাযোগের বিঘ্ন ঘটে। শিলা বৃষ্টির কারণে কৃষকের কাচা, আধা-পাকা ধান, সবজি, লিচু ও আম বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঝড়ের কবলে এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।