খাষ শহজানী স্কুল প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি…’ গাইতে গাইতে শহীদ মিনারে সমবেত হচ্ছে সবাই। তবে করোনার কারণে সব কিছেই হচ্ছে এবার স্বল্প পরিসরে। বাঙালির মননে অনন্য মহিমায় ভাস্বর চিরস্মরণীয় একুশে ফেব্রুয়ারি, যা একই সঙ্গে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরও পূর্ণ আজ।
অমর একুশে বাঙালির পথদিশা- প্রাণের স্পন্দন, সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর, আউয়াল, অহিউল্লাহর রক্তে রাঙানো মাথা নত না করার চির প্রেরণার উৎস।
তাই আজ লাখো বাঙালি সবটুকু আবেগ ঢেলে দিয়ে স্মরণ করবে। ১৯৫২ সালের এই দিনে শহীদদের শাণিত ধারায় যে আলোকিত পথের উন্মোচন ঘটেছিল, সেই পথ ধরে এসেছিল স্বাধীনতা।
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। মায়ের ভাষা বাংলাকে কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে পূর্ব বাংলার ছাত্র-জনতা। এর প্রতিবাদে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়। ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। এতে রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, সফিউরসহ নাম না জানা অনেকে শহীদ হন। এরপর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাষা আন্দোলন।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদানের এই অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। আজ বাঙালির সঙ্গে সারা বিশ্বেই দিনটি পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন : আঃ করিম তালুকদার – সভাপতি আওয়ামী লীগ ভারড়া ( পচ্শিম), মোঃ শহিদুল ইসলাম (সবুজ মাষ্টার) – সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ( ভারড়া) মোঃ ফিরোজ আহমেদ, সহ- সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ( ছাত্র লীগ সাধারন সম্পাদক (ভারড়া), এম এ মতিন ছামী – ডেপুটি কমন্ডার (নাগরপুর)
প্রমুখ।