তাহসানুর রহঃ শাহজাহান
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের বাঁকা পূর্ব পাড়ায় নিজ কন্যার সাথে ধর্ষণের অভিযোগ অতঃপর গ্রামবাসী পিতাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে হাতে তুলে দেয়।জানা যায়, গত ১১-১২ দিন আগে নিজ কন্যাকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে এমন অভিযোগ উঠে আসে।
গত(১৮ অক্টোবর)সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে, গ্রামবাসী ধর্ষক পিতাকে নিজ বাড়ীতে আটকিয়ে উত্তম-মধ্যম দিয়ে, পুলিশকে ইনফর্ম করে এলাকাবাসী ধর্ষক পিতাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় কন্যার মা মোছাঃ পাপিয়া খাতুন (৪৫) জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার কন্যা বাঁকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর পড়ুয়া ছাত্রী।
আমার স্বামী আব্দুল খালেক বাঁকা পুর্বপাড়ার মৃত আজির বকসের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে আমার ছোট কন্যাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হরণ ও হয়রানি করে আসছিল। কয়েক বার আমার অনুপস্থিতিতে আমার কন্যাকে যৌন হয়রানি করে আসছিলো।
আমি ঘটনাটি জানার পর প্রতিবাদ করলে আমার স্বামী আঃ খালেক মা-মেয়ে দু’জনকেই জবাই করে ফেলার হুমকি দেয়। আমি সব কিছু চিন্তা করে,মান-সম্মানের ভয়ে মুখ বুজে সহ্য করি।
কিন্তু আমার স্বামী খালেক কন্যাকে যৌন হয়রানি থেকে কোন পরিবর্তন হয় না। অনেক সময় আপত্তিকর ঘটনা দেখে ফেললে ও কিছু বললে, সে হুমকি ধামকি দিয়ে থামিয়ে দেয়।গত দু’দিন আগেও আমার কন্যার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার কথা জানতে পারি ।আমি সর্বশেষ যখন (৭অক্টোবর) সকালে আমি কন্যাকে বাড়ীতে রেখে আমার নিজ বোনের বাড়ী মহেশপুরের ঘুগরি পান্তাপাড়ায় বেড়াতে গেলে।
ওইদিন রাতে একা পেয়ে আমার স্বামী আমার কন্যাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপকর্ম করে।আমি বাড়ীতে আসলে আমার মেয়ে এ ঘটনার কথা বললে আমি অবাক হয়ে যাই। কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে না পেরে একদিন আমার স্বামী খালেক বাড়ী থেকে কুষ্টিয়া গেলে।
আমি আমার বাবার বাড়ী মীনাজপুর গিয়ে ঘটনার কথা বললে আমার পরিবার ও এলাকার লোকজন আমার স্বামীকে বাড়ীতে আটকিয়ে মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সেই স্কুল ছাত্রীর কাছ থেকে জানা জায়,তার পিতা এ পর্যন্ত তাকে তিনদিন ধর্ষণ করে এবং তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এমনকি এ ঘটনার কথা কাউকে বললে সে দা হাসুয়া দিয়ে কেটে ফেলবে বলে হুমকি ধামকি দেয়।
এমনকি একথা পাড়ার কারো সাথে এ ঘটনার কথা বললে খুন করবে বলে ভয় ভীতি দেখায়।এবং আমি সহ্য করতে না পেরে মা ও চাচাতো ভাবীকে জানায়।
এঘটনায় জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, গ্রামবাসী দোষী আঃ খালেক কে আটকিয়ে রাখার কথা শুনে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবং আরো বলেন ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় উভয়পক্ষের নিকট বিস্তারিত জেনে শুনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।