ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন কম দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। মহাসড়কে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আজ শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস কম চলাচল করছে।
মহাসড়ক স্বাভাবিকের চেয়ে ফাঁকা। সরাসরি ঢাকাগামী বাসের সংখ্যা একেবারেই কম। তবে কিছু বাস গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত যাচ্ছে। সেখানেও আবার নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। মহাসড়কের ঢাকামুখী বাসের চেয়ে মালবাহী ট্রাকের পরিমাণ বেশি। এলেঙ্গা থেকে মহাখালীতে ‘হাইচয়েজ’ বাসে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ঝটিকা বাসের হেলপার রফিক মিয়া বলেন, ‘এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছি। অন্যদিন ৬০-৭০ টাকা নেই। সড়কে বাস কম। ‘
ঢাকার মহাখালী যাবার জন্য প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন শরীফ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি ইউনিলিভার কম্পানিতে চাকরি করি। অনেকক্ষণ ধরে গাড়ি পাচ্ছি না। গতকাল বৃহস্পতিবার বাসে ঢাকা থেকে এলেঙ্গা এসেছি ৩০০ টাকা দিয়ে। গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য অপেক্ষারত যাত্রী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করি। প্রায় এক ঘণ্টা থেকে গাড়ি পাচ্ছি না। অন্য দিন বাস পেতে সময় লাগে না। ‘
এদিকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ ও কাগজপত্র বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে চেকিং চলছে। এ পর্যন্ত ৩ টি মামলা করেছি। তবে মহাসড়কে অন্য দিনের তুলনায় বাসের সংখ্যা কম। ‘
টাঙ্গাইল জেলা বাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, ‘যাত্রী কম হওয়ার কারণে টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডে থেকে ঢাকার দিকে বাস কম চলছে। অন্য কোনো কারণ নেই। ‘
টাঙ্গাইল জেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকামুখী বাস চলাচল নিষেধ করা হয়নি। তবে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকামুখী বাস চলাচল কম করছে। কারণ বাস মালিক শ্রমিকরা ভয়ে আছেন। যদি গতবারের মতো বিএনপির লোকেরা বাসে ও যাত্রীদের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ‘
এদিকে ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল এলেঙ্গা, টাঙ্গাইল শহরসহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিটিং মিছিল করছেন।
