ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারের যেসব দৃশ্য দেখে কেঁদেছে বিশ্ববাসী

স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়া এখন লন্ডভন্ড। দেশ দুটিতে গত সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই প্রলংকারী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া হাজারও বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ, আহতদের সংখ্যা আরও বিপুলসংখ্যক।
 এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখন মানবিক সংকটে রূপ নিতে যাচ্ছে। বিপর্যস্ত এই দুই দেশে ভূমিকম্পের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারের কিছু দৃশ্য ইতোমধ্যে বিশ্ববাসীর হৃদয়ে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে। এমনই এক হৃদয়নাড়ানো দৃশ্য হচ্ছে
ধ্বংসস্তূপের নিচে ‘অলৌকিকভাবে নবজাতকের জন্মগ্রহণ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
বিধ্বস্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে সন্তান জন্ম দিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গর্ভবতী মা। নাড়ি কেটে জীবিত উদ্ধার করা হয় সেই সন্তানকে। এমন রক্তমাখা শিশু উদ্ধারের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তের কোটি কোটি মানুষকে। নিজের অজান্তে অনেকে ফেলেছেন অশ্রুজল।  ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তুপে পুরো শরীর চাপা পড়লেও কেবল অক্ষত ছিল দুজনের মাথাটুকুই। আর ছোট্ট ভাইয়ের মাথায় যেন আঘাত না লাগে সেজন্য নিজের হাত দিয়ে ভাইয়ের মাথা আগলে রাখে সাত বছরের বোন। হৃদয়বিদারক এই দৃশ্য শেয়ার করে ভাই-বোনের বেঁচে যাওয়াকে অলৌকিক ঘটনা বলছেন অনেকে।
স্ত্রী-সন্তানদের লাশের পাশে জীবিত আব্দুল আলিম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
রয়টার্সের ফটোগ্রাফার উমিত বেকতাসের তোলা ছবিতে দেখা যায়, আব্দুলআলিম মুয়াইনি তার স্ত্রী-সন্তানদের নিথর লাশের পাশে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আছেন। যেখানে উদ্ধারের আশায় হাত উঁচু করে নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। জ্ঞান থাকলেও বাম চোখে আঘাত পাওয়ায় তা খুলতে পারছেন না আলিম। স্ত্রী ও ২ সন্তান মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। মুয়াইনির দুই বন্ধু জানান, উদ্ধারকালে তার শরীরজুড়ে ধুলায় আচ্ছাদিত ছিল। তার পরিবারের কাউকেই বাঁচানো যায়নি। মাটিতে কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে তার স্ত্রী ও ২ সন্তানের মরদেহ। সিরিয়ান বংশোদ্ভূত মুয়াইনি গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্কে এসে ইসরা নামে এক তার্কিশ নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরেই জন্ম নেয় মাহসেন ও বিসিরা নামে দুই কন্যা সন্তান।
১৩ বছরের বেরাত সারির জীবিত উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
ভূমিকম্প হওয়ার ৫৫ ঘণ্টা পর তুর্কি শিশু বেরাত সারিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অবস্থায় তার হাতের মুঠোয় ছিল নিজের প্রিয় বাজিগর পাখিটি। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পাখির আওয়াজ পাওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই কিশোর ও পাখিটি উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়ার সময়ও বেরাত সারি চিৎকার করে পাখিটিকে নিজের হাতে ফেরত দিতে বলছিল। ঘটনাস্থলে থাকা তার চাচি দোদু ওজতুর্ক পাখিটিকে নিজের হাতে নিয়ে বোতলে করে পানি পান করান এবং খাবার
৬২ ঘণ্টা পর ২ নারীকে জীবিত উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
জীবিত উদ্ধার ফাতেমা দিমির ও মারভা নামে দুইজন সম্পর্কে তারা বোন। উদ্ধারের পর ফাতেমা ভূমিকম্পের সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, একটি স্ল্যাব আমার মাথার উপর পড়লে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এ সময় পাশে থাকা আত্মীয় হুরসাকে কাছে টেনে আনার চেষ্টা করি।
৫২ ঘণ্টা পর ৮ বছরের ইয়াজিত চাকমাককে উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
সিএনএন বলছে, প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানার ৫২ ঘণ্টা পর তুরস্কের হাতায়ে শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশু ইয়াজিত চাকমাক-কে উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাকে যখন বের করে আনা হয়, তখন তার চোখে-মুখে ছিল আতঙ্ক আর পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার আকুতি। শিশুটিকে পর একজন একজন করে উদ্ধারকর্মীর কাঁধ হয়ে তার মায়ের কোলে গিয়ে পৌঁছায়।
ধ্বংসস্তুপে মৃত মেয়ের হাত ধরে আছেন বাবা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এএফপির ফটোগ্রাফার অ্যাডাম আলতানের তুলে আনা ছবিতে দেখা যায়, শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের শহর কাহরামানমারাসের একটি বিধ্বস্ত ভবনের সামনে কারো হাত ধরে বসে আছেন এক ব্যক্তি। তার নাম মেসুত হেনসার। যার হাত ধরে তিনি বসে আছেন সে তার ১৫ বছর বয়সী মৃত কন্যা ইরকাম, যে চাপা পড়ে আছে কংক্রিটের স্ল্যাবের নিচে।
চাপা অবস্থায় যমজ সন্তানসহ এক দম্পতি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কে ভূমিকম্প আঘাত হানার ৪০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার হয় দেড় বছর বয়সি যমজ ভাইবোন ও তাদের মা-বাবা। মঙ্গলবার দেশটির গাজিয়ানটেপ প্রদেশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, যমজ ছেলে আহমেত এরবেকে প্রথমে উদ্ধারের সময় উদ্ধারকারীরা চিৎকার করে বলছিল- ‘একটি অলৌকিক ঘটনা আসছে’ এবং তারা কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুকে টেনে বের করে মেডিকেল টিমের কাছে পাঠান। পরে এরবের যমজ বোন আমিন এলসিনকেও উদ্ধার করে বাচ্চাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। যমজদের মা পিনার এবং বাবা ইব্রাহিম কারাপিরলিরকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রৌমারীতে সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে দু‘গ্রুপে মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়া

রৌমারী সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধের পর থেকে দখলবাজদের উৎপাত বেড়ে যায়। অবশেষে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে দু‘গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও...

Read more

সর্বশেষ

ADVERTISEMENT

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত


সম্পাদক ও প্রকাশক : মাে:শফিকুল ইসলাম
সহ-সম্পাদক : এডভােকেট-মোঃ আবু জাফর সিকদার
প্রধান প্রতিবেদক: মোঃ জাকির সিকদার

কার্যালয় : হোল্ডিং নং ২৮৪, ভাদাইল, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪৯

যোগাযোগ: +৮৮০ ১৯১ ১৬৩ ০৮১০
ই-মেইল : dailyamaderkhobor2018@gmail.com

দৈনিক আমাদের খবর বাংলাদেশের একটি বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে দৈনিক আমাদের খবর, অনলাইন নিউজ পোর্টালটি সব ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচারিত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে এটি একটি।

ADVERTISEMENT
x