শারীরিক প্রতিবন্ধী ভক্ত রানা আহমেদের ডাকে সাড়া দিতে বগুড়ার কাহালু উপজেলার প্রত্যন্ত জামগ্রাম ইউনিয়নের কালিপাড়ায় গেছেন আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেতা অনন্ত জলিল ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বগুড়া পৌঁছান তারা। সেখান থেকে জামগ্রামে যান। ভক্ত রানার সঙ্গে দুপুরের খাওয়া শেষে বিকেলে তাকে নিয়ে জলিল-বর্ষা বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায় মধুবন সিনেপ্লেক্সে সিনেমা উপভোগ করেন।
রানার সঙ্গে দেখা করার সময় তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো এবং চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। এ সময় রানাকে তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকাও দেন তিনি।
এদিকে নায়ক অনন্ত জলিল ও নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা শুভেচ্ছা জানাতে কালিপাড়ায় ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে মঞ্চ করা হয়। স্কুলমাঠে হেলিকপ্টা থেকে নামার পর তারা ভক্ত রানাকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে উপস্থিত দর্শকদের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় অনন্ত জলিল বলেন, “সমাজে প্রতিষ্ঠিত বড় বড় সচিব, আমলা ও ব্যবসায়ীর জন্ম গ্রামে। এ জন্য গ্রামকে কখনও ছোট করে দেখা যাবে না। বগুড়াতে আসার অন্যতম কারণ ভক্ত রানাকে দেখতে। রানার মন-মানসিকতা আমাদের চেয়ে উন্নত। এ জন্য ওর বাবা-মাকে আমার তরফ থেকে অনেক ধন্যবাদ। রানার সুবাধে আজ আমি আপনাদের কাছে আসতে পেরে গর্ববোধ করছি।”
অনন্ত জলিল জানান, তিনি রানাকে ঢাকায় নিয়ে যাবেন। পাসপোর্ট করার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, “আমি চেষ্টা করবো রানার সুস্থ হওয়ার বিষয়টি মহান আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। তিনি উপস্থিত জনতার কাছে দোয়া চান ও তাদের মধুবন সিনেপ্লেক্সে তার ছবি দেখার আমন্ত্রণ জানান।
নায়িকা বর্ষা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি গ্রামের মেয়ে, গ্রামেই বড় হয়েছি। রানার জন্য আবারো গ্রামে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। দিন-দ্য ডে” চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের চলচ্চিত্রের ধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরাও হলিউড, বলিউডের মত চলচ্চিত্র করতে পারি। এচলচ্চিত্রের গল্প, অভিনয় ও অ্যাকশন দর্শকদের ভালো লাগবে।”