মেকআপের কারণে যদি বয়স বেশি দেখায় তাহলে আর মেকআপ করে লাভ কি! আজকাল অ্যান্টি-এজিং ক্রিম আর লোশনের তো অভাব নেই। আছে কতশত ডায়েট। উপযুক্ত মেকআপের সংখ্যা তো গুণে শেষই করা যাবে না। তবু মেকআপের সময় নারীরা প্রায়শই এমন ভুল করে যাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলিরেখা। এতে সাজটাই মাটি।মেকআপের তুলির টানে সামান্য এদিক ওদিক হওয়া যাবেনা। তবু না জেনেই এমন ভুল করেন অনেকে। আসুন জেনে নেই কোন কোন মেকআপের ভুল নারীরা অহরহ করে থাকেন যাতে বয়স্ক
দেখায়:
কনসিলার নির্বাচনে ভুল
চোখের নিচে ফোলাভাব? ডার্ক সার্কেল? কনসিলার দিয়ে সহজেই ঢেকে ফেলুন। তবে ভুল শেডের কনসিলার লাগালে হিতে বিপরীত হতে বাধ্য। অনেক সময় যা ঢাকতে চেয়েছিলেন তা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই শেডের ফাউন্ডেশন কিনে নিন। চোখের নিচে উল্টোনো ত্রিভুজের মত করে কনসিলার লাগিয়ে তা স্পঞ্জ কিংবা ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন।
পুরু ফাউন্ডেশন
ফাউন্ডেশন পুরু করে লাগালে মুখের বেশ কিছু অংশে দাগছোপ লুকোনো যায় একথা সত্য। কিন্তু তাতে আপনার মুখে কৃত্রিমতা এসে ভর করে। মুখে বলিরেখা থাকলে পুরু ফাউন্ডেশন ভেদ করে তা গাঢ় হয়ে ফুটে ওঠে। সেজন্যে লিকুইড ফাউন্ডেশনের বদলে লাইটওয়েট মুজ বা ক্রিম ফাউন্ডেশন নিন। এতে ত্রুটিগুলো ঢাকা পড়লেও মুখ আর মুখোশ হবে না।
ব্লাশ লাগাবেন যেভাবে
গালে ব্লাশ লাগালে তা হালকা গোলাপি আভার জন্যে। তবে মুখে চামড়া ঝুলে থাকলে ব্লাশ লাগানোতে সাবধান। গালের হাড়ের বেশি নিচে ব্লাশ লাগালে ত্বক আরও বেশি ঝুলে গেছে মনে হবে। গালের হাড় বরাবর ওপরের দিকে স্ট্রোক করে ব্লাশ লাগাবেন। এমনকি শেড বাছাইয়ের সময় খেয়াল রাখুন।
আইলাইনার
চোখের উপরের পাতা ও নিচের পাতা, দুই জায়গাতেই আইলাইনার পরবেন।
হাইলাইটার
নির্বিচারে হাইলাইটার লাগানোর প্রয়োজন নেই। বিশেষত ভুরুর নিচের হাড়ে হাইলাইটার দিলে চোখ বয়স্ক ও ক্লান্ত দেখায়। চোখের ওপরের পাতার ঠিক মধ্যে অথবা চিকবোনের ওপরে সামান্য হাইলাইটার ছুঁয়ে নিতে পারেন।