অনেক জল ঘোলার পর প্রতীক্ষিত বিজয় এলো নিপুণের। শপথ গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় শিল্পী সমিতির অফিসে বসে তিনি তার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।
সাথে ছিলেন তার প্যানেলের নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পী সমিতির অফিসে প্রবেশ করেন কাঞ্চন-নিপুণ। এসময় তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
সমিতির অফিসে বসে তাৎক্ষণিকভাবে নিপুণ তার প্রতিক্রিয়ায় চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এই মূহূর্তে রিয়াজ ভাইকে খুব মিস করছি। আমার জয়ের নেপথ্যে তিনি নিরলসভাবে খেটেছেন। তিনি আমার সাথে থাকলে এই বিজয় আরও রঙিন হয়ে উঠতো।
রিয়াজ ছিলেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থী। তিনি পরাজিত হন ডিপজল-রুবেলের কাছে। নিপুণ বলেন, রিয়াজ ভাই সবসময় আমার সাথে থাকবেন।
আগামীতেও তাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সবগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই। যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের নিয়েও আমি কাজ করতে চাই।
পরাজিত হয়েও রোববার বিকেলে কাঞ্চন-নিপুণদের শপথ পড়িয়ে নজির স্থাপন করেন মিশা সওদাগর। পরে তিনি সমিতির অফিসে এসে ইলিয়াস কাঞ্চনের হাতে অতীতের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ভোরে ফলাফল ঘোষণা করা হয় নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
অন্যদিকে, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরে যায় নিপুণ। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই নিপুণ ছিলেন সোচ্চার। তিনি জায়েদের বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা দেয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের উপযুক্ত সত্যতা পায় আপিল বোর্ড।
পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যাচাই বাছাই শেষে শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।