ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
রহিমুল্লাহকে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অনেকে চিনেন। গত মাসে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মা মারা যায়। অলৌকিকভাবে ৫/৬ বছরের ছেলেটি বেঁচে যায়। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক তখন হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসাবাবদ আর্থিক সহায়তা ও কিছু খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন। ১১ জুলাই শনিবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক পুনরায় রহিমুল্লাহ খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১ নং পাড়িয়া ইউনিয়নে উত্তর পাড়িয়া শালডাঙ্গা গ্রামে যান এবং তার বাবা- ভাইর সাথে কথা বলেন। রহিমুল্লাহকে যেন পড়াশোনা করানো হয় । সে ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক তার পিতাকে পরামর্শ দেন। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক তার পিতাকে একটা গাভী, ৪টি ছাগল এবং কিছু আর্থিক সহায়তা দেন। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক রহিমুল্লাহর পিতাকে গরু ছাগল লালন-পালনের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে রহিমুল্লাহ কে পড়াশোনার খরচ চালানোর পরামর্শ দেন। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সাথে এ সময় এডিসি (জেনারেল)নুর কুতুবুল আলম,বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন , পাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহের আলী সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন ।