শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ষষ্ঠবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে পুরোনো দল হিসেবে পরিচিত তার দল ইউএনপি। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে দলটি মাত্র একটি আসন পায়।
বেশ কিছু রাজনৈতিক সূত্রের মতে, শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) এবং প্রধান বিরোধী দল সামাগি জানা বালাওয়েগয়ার (এসজেবি) একটি অংশ এবং আরও কয়েকটি দল সংসদে বিক্রমাসিংহের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানোর বিষয়ে সমর্থন প্রকাশ করেছে।
৭৩ বছর বয়সী এই ইউএনপি নেতা ৪৫ বছর ধরে সংসদে আছেন। তার ব্যাপক আন্তর্জাতিক সংযোগ আছে এবং তাকে একজন দক্ষ আলোচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে পশ্চিমাপন্থী মুক্তবাজার অর্থনীতির সমর্থক এবং সংস্কারবাদী হিসাবে দেখা হয়। ১৯৪৯ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মতো দেশটির সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। সে সময় তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ১৯৯৪ সালের পর থেকে তিনি ইউএনপির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রনিল বিক্রমাসিংহে এর আগেও পাঁচবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ১৯৯৩-১৯৯৪, ২০০১-২০০৪, ২০১৫-২০১৫ (১০০ দিন), ২০১৫-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯৪-২০০১ এবং ২০০৪-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে, বিক্রমাসিংহে পর পর দুইটি নির্বাচনে হেরে যান। তিনিই তার দলকে একের পর এক নির্বাচনী পরাজয়ের দিকে নিয়ে যান। এই কারণে তার নিজের সমর্থকরাও তাকে হিসেবে ‘রেকর্ড লুজার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
কিন্তু এতো কিছুর পরও ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাক্ষের নির্বাচনী পরাজয়ের পরে বিরোধীরা কর্তৃত্ববাদী নেতার বিরুদ্ধে ঐক্য প্রার্থী হিসেবে তাকে সমর্থন দেয়ার পর তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।