সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় নির্দেশ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তায় আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।

জাতীয় তথ্যভাণ্ডারের নিরাপত্তার বিষয়টিও খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী সাবমেরিন কেবলের জন্য যে প্রকল্প তাতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর যেসব গ্যাস ও তেল পাইপলাইনে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেসব কাজও তাড়াতাড়ি শেষ করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যাতে পরিবহন খরচ না লাগে এবং তাড়াতাড়ি গ্যাস ও তেল সরবরাহ করা যায়। এখন সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন জোরদার করতে বলা হয়েছে, বিশেষ কোনো কারণ আছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দু’তিন বছর ধরেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এখন বিষয়টি আরও জোর দেয়া এবং আধুনিক উপকরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

কোনোভাবেই যেন ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো বিষয় হ্যাক করা না যায়। এ ছাড়া ধীরে ধীরে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যাওয়া হচ্ছে। এগুলোতেই যেন ভালো রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। খসড়ায় স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সরকারি কর্মচারী আইনে একটা জিনিস পরিষ্কার ছিল না।

আইনে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ে কী হবে সে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ ছিল। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ যেগুলো যেমন- দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এদের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছিল, তাদেরও (স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান) বেশির ভাগ ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে হয়। সুতরাং তাদের বিষয়েও অর্থ বিভাগের একটা অথরিটি থাকতে হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ- ৮৪, ৮৫ ও ৮৬-এ বলা আছে, রাষ্ট্রের যত ব্যয় আসবে সব একটা অ্যাকাউন্টে আসবে, একটা অ্যাকাউন্ট থেকেই খরচ করা হবে। যেটাকে আমরা ট্রেজারি বলি।

এ ট্রেজারির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো অর্থ বিভাগ। সুতরাং খরচের ক্ষেত্রে যেন অর্থ বিভাগের এখতিয়ার থাকে, বলেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কোনো করপোরেশন বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো বেতন-কাঠামো ঠিক করে নেয়, তাহলে তো হবে না। সেজন্য যেকোনো অর্থনৈতিক বিষয় হলে অর্থ বিভাগের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নিতে হবে। এ জন্যই আইনটির মধ্যে ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনে আনা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী আইন হওয়ার আগেও এ বিধান ছিল। আগেও এটাও বাধ্যতামূলক ছিল, এখন আইনগত একটা ভিত্তি দেয়া হলো। পারদের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘মিনামাটা কনভেনশন অন মার্কারি’র অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পারদের ব্যবহার বন্ধ করা, বর্জ্য পোড়ানো ও পারদযুক্ত পণ্যের ব্যবহার কমানো নিয়ে মিনামাটা একটা কনভেনশন ছিল।

পারদযুক্ত সামগ্রী থার্মোমিটার, পেইন্টস, প্রসাধনী, বাতি, ব্যাটারি থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার ৬৬০ কেজি পারদ আমাদের পরিবেশে আসে। এটা মেসিভ ডিজাস্টার এবং খুবই বিপজ্জনক জিনিস। এটার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মার্কারির (পারদ) লিমিটেড ব্যবহার নিয়ে ২০১৩ সালে মিনামাটাতে কনফারেন্স হয়েছিল। মার্কারি একটি ক্ষতিকর কম্পাউন্ড। আমাদের দেশে থার্মোমিটারে মার্কারি ব্যবহার করা হয়। থার্মোমিটারে মার্কারি ব্যবহার না করে অন্য কিছু ব্যবহার করতে হবে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, হয়তো একটা থার্মোমিটার ভেঙে গেল, বাচ্চারা এটা নিয়ে খেলে, আমরাও ছোট বেলায় এগুলো নাড়াচাড়া করেছি। মার্কারি যে এত ক্ষতিকর শরীরের পক্ষে বা পরিবেশের পক্ষে, আমাদের কারও ওই রকমের ধারণা ছিল না। এখন আস্তে আস্তে জিনিসগুলো পরিষ্কার হচ্ছে।

দুঃশাসন মূলোৎপাটনে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে পরাজয় বরণ করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি...

Read more

সর্বশেষ

ADVERTISEMENT

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত


সম্পাদক ও প্রকাশক : মাে:শফিকুল ইসলাম
সহ-সম্পাদক : এডভােকেট-মোঃ আবু জাফর সিকদার
প্রধান প্রতিবেদক: মোঃ জাকির সিকদার

কার্যালয় : হোল্ডিং নং ২৮৪, ভাদাইল, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪৯

যোগাযোগ: +৮৮০ ১৯১ ১৬৩ ০৮১০
ই-মেইল : dailyamaderkhobor2018@gmail.com

দৈনিক আমাদের খবর বাংলাদেশের একটি বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে দৈনিক আমাদের খবর, অনলাইন নিউজ পোর্টালটি সব ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচারিত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে এটি একটি।

ADVERTISEMENT
x