মিজানুর রহমান, সিংগাইর:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে অপর ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। নিহত মিরু (২৫) সিংগাইর পৌর এলাকার রঙ্গের বাজার মহল্লার আব্দুল কাদির কসাইয়ের ছেলে। তিনি সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সিংগাইর সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।
সোমবার স্থানীয় এমপি মমতাজ বেগমের বাড়িতে গানের আসর শেষে বাড়িতে রওয়ানা হয় মিরু। সিংগাইর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন চার রাস্তার মোড়ে পৌছলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তিনি। আজ ২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু) চিকৎিসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা পরিবহণ শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আঙ্গুর ও তার ভাই সিংগাইর সরকারি কলেজ শাকা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুহাম্মদ দুলাল ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা ফারুক হোসেন মিরুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ্এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
পারিবারিক এবং স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় মাস খানেক আগে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিংগাইর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল এবং উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরুর মধ্যে মারধর হয়।
সেই বিরোধের জেরে গতকাল রাতে স্থানীয় এমপি মমতাজ বেগমের বাসায় গানের আসর শেষে মিরু পৌর এলাকার আঙ্গারিয়া মহল্লার বাসায় ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন চার রাস্তার মোড়ে পৌছলে জালাল উদ্দিন আঙ্গুর ও তার ছোট ভাই দুলালসহ ৬-৭ জন সিএনজি যোগে এসে মিরুর পথ গতিরোধ করে।
পরে মটর সাইকেল হতে নামিয়ে মিরুকে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে সিংগাইর সরকারি সদর হাসপাতালে ভর্তী করলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে উন্নত চকিৎসার পড়াশর্ম দিলে মূমুর্ষ অবস্থায় পরে মিরুকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু) নেয়া হয়। সেখানে আজ দুপুরে মিরুর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে এমন বর্বর হত্যাকান্ডের জেরে ফুঁসে উঠেছে সমস্ত সামাজিক মিডয়িা। ফেইজবুক জুড়ে দেখা যাচ্ছে মিরু হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন পোষ্ট। সিংগাইর থানার ওসি রকিবুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।