বিএনপি নিজেদের ‘স্বাধীনতাবিরোধী চরিত্রকে’ জনগণের কাছে আবারও স্পষ্ট করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে।
তারা নিজেদের স্বাধীনতা বিরোধী চরিত্রকে জনগণের কাছে আবারও স্পষ্ট করে তুলেছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা পোস্ট-কোভিড জটিলতার মতো মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির সাথে থেকে এবং রাজনীতি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ক জটিলতায় ভুগছে।’
বিএনপি পরাজিত অপশক্তির ‘স্বার্থরক্ষার রাজনীতি’ করতে গিয়ে এখন নিজেদের পরিচয় এবং অবস্থানও ‘ভুলে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো বিএনপি নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছেন। ন্যুনতম লজ্জা থাকলে তারা এসব কথা বলতেন না।’
তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তারাই তো এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। তারাই রক্তমূল্যে অর্জিত স্বাধীন দেশের পতাকা পরাজিত শক্তির গাড়িতে উড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছিল। কোথায় ছিল তখন তাদের এই বহুরূপী চেতনা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদে পদে ভূলুণ্ঠিত করে সাধু সাজার অপচেষ্টা জনগণ মেনে নিবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই এখন সর্বজন স্বীকৃত ছদ্মবেশী লুটেরা। গণতন্ত্রের নামে লুটপাটতন্ত্রই বিএনপির লক্ষ্য। মুখোশের আড়ালে বিএনপির বিকৃত মুখচ্ছবি এখন জনগণের কাছে স্পষ্ট। জনগণ ছদ্মবেশী বেনিয়া আর চেতনাধারীদের আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী বিএনপি এখন কথামালা দিয়ে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়?’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বন্ধুর পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন আস্থার ঠিকানা, আশার নিউক্লিয়াস, উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার পুরোধা। পিতার উন্নয়নের পথরেখা ধরেই তার নেতৃত্বে আজ অদম্য এক নতুন বাংলাদেশের এগিয়ে চলা।’
সেতুমন্ত্রী বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বিআরটিসি’র কর্মকর্তা – কর্মচারীদের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সংযুক্ত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।