হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এসমোতারা নামে এক গৃহবধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাষন্ড স্বামী নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। এছাড়া নির্যাতনের শ্বীকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত সোমবার (১১ জানুয়ারী) উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এমন ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার নির্মম ভাবে নূর মোহাম্মদ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করেন। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই গৃহবধূ।
অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। তবে সন্তান দুটি জন্মের পর থেকেই কারণে অকারণে ওই গৃহবধূকে মারধর করেন পাষন্ড নূর মোহাম্মদ।
এমতাবস্থায় গত ১১ জানুয়ারি ওই গৃহবধূকে কোন কারণ ছাড়াই মারধর করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মারধরের শ্বীকার ওই গৃহবধূ ব্যাথার যন্ত্রনায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। এ সময় এসমোতরা বলেন, আমার স্বামী আমাকে প্রায় কারনে অকারনে মারেন।
আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলে। না হলে গলায় দড়ি অথবা বিষ খেয়ে মরতে বলে। এমনকি আমার স্বামী আবারো বিয়ে করতে চায় আর বলে তুই চলে যা তোকে নিয়ে আর থাকতে চাই না। এসব কথা বলেন আর মারধর করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ বলেন, মারধর করা হয়নি। শুধু বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কারন ওর চরিত্র ভালো না। নিউজ করেন না। আমি ওকে বাড়িতে নেয়ার ব্যবস্থা করতেছি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আনে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।