আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘নিজের দলের ভেতরে যারা ঘাপটি মেরে থেকে দুর্বৃত্তায়ন করছেন তাদের বিরুদ্ধে একশনে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা দৃশ্যমান হয়েছে ইতোমধ্যে। যারা দলকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন এমনকি যারা দলের ক্ষতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে চলমান এই অভিযানে কেউ বাদ পড়বেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে রক্ষা করুন। তার এই ডাকে ঐক্যবদ্ধ হবে সবাইকে শামিল হতে হবে। দেশ থেকে দুর্বৃত্তায়ন দূর করতে হবে। জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হলেও বিএনপি তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে না। তারা প্রশংসা করছে না। উল্টো সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে তারা।’
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমানের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া। সকালে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর।
সম্মেলনে আমন্ত্রীত অতিথি হিসেবে নীলফামারী-০১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, সাবেক সাংসদ জোনাব আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক বক্তব্য দেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সমঝোতার মাধ্যমে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন নীলফামারী সদর উপজেলার সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হন মাহফুজার রহমান শাহ, ধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আবুল কাশেম।