যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে আজ। স্পষ্টভাষী আর ‘একক সিদ্ধান্তে’ সংগঠন পরিচালনায় সিদ্ধহস্ত ওমর ফারুক হঠাৎ দলের ভেতরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তাকে বাদ দিয়ে দিব্যি চলছে সবকিছুই। আজ বিকাল ৫টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন যুবলীগ নেতারা, সেখানেও ওমর ফারুক চৌধুরীকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরো নিষেধ করা হয়েছে সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপিকে।সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকটি যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষ্যে হলেও এতে যুবলীগ চেয়ারম্যানের ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে। এছাড়া যুবলীগের নেতৃত্বে যারা আসবেন তাদের বয়স নির্ধারণ নিয়েও নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগ নেতাদের সর্বোচ্চ বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর নির্ধারণ করা হতে পারে। এছাড়া সম্মেলনের নানা দিকসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবলীগের সম্মেলনের তারিখও নির্ধারণ করা হতে পারে। এর আগে গত ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত যুবলীগের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ওমর ফারুক চৌধুরী। এ বৈঠকে দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে, নানা অপকর্মের কারণে শাস্তি হিসেবে যুবলীগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্তের অনুমোদনের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুবলীগ নেতারা বিস্তারিত প্রমাণাদিসহ বক্তব্য তুলে ধরবেন।
আজকের বৈঠকে বিতর্কিত কোনো নেতাদের নেওয়া হবে না। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, একজন বাদে সকল প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা গণভবনে যাবেন। চলমান অভিযানের মধ্যে গত ৩ অক্টোবর যুবলীগ চেয়ারম্যানের সমস্ত ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট। যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। সবশেষ ২০১২ সালে যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল।