সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছোড়া এসিডে পুড়ে স্ত্রী ও কন্যা গুরুতর ঝলসে গেছেন। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার চাপড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ মা ও মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন, উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের একরামুল কাদিরের মেয়ে ফাতেমা সুলতানা (২৯) ও তার মেয়ে জাকিয়া সুলতানা (২)।সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ফাতেমা জানান, প্রায় ৬ বছর আগে নড়াইল জেলার শাহাজান মোল্যার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী তাকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করত। স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় এক বছর আগে তাদের তালাক হয়। এরপর থেকে ফাতেমা বাবার বাড়িতে থাকত।
প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সে বাবার বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। এরপর গভীর রাতে তার স্বামী শাহাজান মোল্যা বাড়ির জানালার কাছে এসে তাকে ডাকে। জানালা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে তার সারা শরীর ও তার পাশে থাকা দুই বছরের মেয়ে ঝলসে যায়।সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইকবাল মাহমুদ জানান, শিশুটির থেকে তার মায়ের অবস্থা বেশি খারাপ। তার মুখ, চোখ ও বুক থেকে পেটসহ শরীর বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা চলছে। ফাতেমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ফাতেমার সাবেক স্বামী শাহাজান মোল্যাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে, এ ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেননি বলে জানান তিনি।