৭১-এ পাক হানাদারদের বর্বরতার একটি ইতিহাস। এই দীঘির পাড়েই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায় রাণীশংকৈলের মানুষ। লোমহর্ষক ও হৃদয়বিদারক ইতিহাস সৃষ্টিকারী ‘খুনিয়া দীঘি’ বধ্যভূমি হুমকির মুখে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা বিজয় দিবস প্রস্তুতি কমিটির সভায় বধ্যভূমিটির বর্তমান অবস্থা হুমকির মুখে থাকায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন। তাৎক্ষনিক সভায় শুরু হয় ব্যপক আলোচনা সমালোচনার ঝঁড়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না। ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ,উপজেলা র্কমকর্তা,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ। এ সময় আলোচনার এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীর নির্মম গণহত্যার এক নিষ্ঠুরতম ইতিহাস আজও ধারণ করে রেখেছে এ খুনিয়া দিঘী। দিঘীর পাড়ের মাটি কেঁটে বধ্যভূমিরটির বর্তমান অবস্থা এমন করেছে যে, এটি যে কোন সময় ধঁসে পড়ে যেতে পারে’! অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, পাক হানাদারদের নির্মমতা এবং হাজারো বাঙালির রক্তে রাঙ্গানো খুনিয়া দিঘীর স্মৃতি ধরে রাখার তাগিদে ১৯৭২ সালে এ দিঘীর পাড়ে একটি স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা হয়।এ সময় অন্যান্য বক্তারাও লিজকৃত জলকরটি বাতিলের কথাও বলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মুন্না বলেন, ‘লীজ বাতিলের জন্য ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে’।প্রসঙ্গত: উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ভান্ডারা গ্রামের খুনিয়া দীঘি বধ্যভূমিটি বিক্রি করে দেন মালিক দাবি করা এক ব্যক্তি। যার বাবা তৎকালীন দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে বন্দোবস্ত নিয়ে পরে ছেলেদের নামে দলিল করে দেয়।
সফিকুল ইসলাম শিল্পী