নিউজ ডেস্ক:
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোক বার্তায় পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুকে এক মহাপ্রাণের মহাপ্রয়ান হিসাবে আখ্যায়িত করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোক বার্তায় তারা বলেন, ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করার পর সংস্থাটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় স্যার আবেদ বাংলাদেশ ও বিশ্বের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতিটি দেশ ও জাতির গর্ব করার মতো কিছু বিষয় থাকে। স্যার ফজলে হাসান আবেদ তেমন-ই একজন এবং অন্যতম। তিনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপারসন। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাদের অন্যতম সর্বোচ্চ উপাধি ‘নাইটহুড উপাধি’-তে ভূষিত করে ফজলে হাসান আবেদকে।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধেও তার অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করবে। যুদ্ধ শুরু হলে ফজলে হাসান আবেদ ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলে তার মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
তারা বলেন, ফজলে হাসান আবেদ মনে করতেন, যার কিছু নেই, তার পরিচয় একটিই, তিনি দরিদ্র মানুষ। পৃথিবীর প্রতিটি দরিদ্র মানুষেরই ঋণ পাওয়ার অধিকার আছে, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার আছে, অধিকার আছে সন্তানকে শিক্ষা দেওয়ার। একজন অসহায়, দরিদ্র মানুষকে এইসব অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা যায় না। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি জনপ্রিয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে ব্র্যাক। ব্র্যাকের ব্যয়সাশ্রয়ী উন্নয়নমডেল, অতি দরিদ্রদের উন্নয়নে প্রমাণিত সমধানকৌশল, দুর্যোগপরবর্তী সেবাদান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। দেশে-বিদেশে অগণন স্বীকৃতি, পুরস্কার এবং সম্মানসূচক উপাধি সর্বোপরি বিশ্বজুড়ে মানবকল্যাণে ব্রতী হয়ে তিনি অনন্য, অসাধারণ এক জীবন গড়ে তুলেছেন, যার বিশালতা পরিমাপ করাও রীতিমতো দুরূহ কাজ।