অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে সোমবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিয়ে মধুর ক্যান্টিন হয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে একসাথে’, ‘নির্লজ্জ প্রক্টর, ধিক্কার ধিক্কার’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস একসঙ্গে চলে না’– এ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন গোটা ক্যাম্পাস।
সমাবেশে ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক আখতার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস চলতে দেয়া হবে না। যে প্রক্টর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছাত্রদের রক্ষা করতে পারেন না, তার পদে থাকার কোনো বৈধতা নেই। অবিলম্বে তার পদত্যাগ করতে হবে। আমরা প্রক্টরকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছি। আমরা জানতে চাই– আপনারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? এ সময় শিক্ষার্থীরা সমস্বরে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
ছাত্র ফেডারেশনের জাহিদ সুজন বলেন, বুয়েটে আবরারের রক্ত শুকায়নি। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর ছাদ থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুজনকে ফেলে দেয়া হয়। এসবের পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লেজুড়বৃত্তি প্রশাসন। আমরা এ প্রশাসনের পদত্যাগ চাই।
উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।
এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।