দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন প্রয়োজনে ইটের চাহিদা অপরিহার্য তাই এই বিপুল চাহিদা মেটাতে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় ইটের ভাটা। আর এসব ইট ভাটা হতে সরকারের রাজস্ব আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ইট ভাটা মালীক খায়রুল ইসলাম শিকদার বলেন, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় হলো বিভিন্ন কারনে অন্যা অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে ইট শিল্পের যে চরম অবনতি ও বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি হয়েছে,যা ভাটা মালীকদের পুষিয়ে উঠতে খুবই মুসকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।যে কারনে অনেক ভাটা সিজন শেষ হওয়ার আগেই বন্ধ হয়েগেছে,এবং এটা আমাদের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ হয়েগেছে।এবং লোকসানের হার এমনি যে ভাটা মালীক পক্ষ নিশ্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়ে গেছে। খায়রুল ইসলাম শিকদার এটাও বলেন যে ইট তৈরি করার জন্য শ্রমিক আনতে হয় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এবং তাদের সরদার দের মাধ্যমে দিতে হয় দাদন নামক লক্ষ লক্ষ টাকা এই দাদন নিয়ে অনেক সরদার ভাটায় ওঠেনা আবার অনেকেই উঠলেও অন্নত্র পালিয়ে যায়। এবং সিন্ডিকেটে কয়লার দাম গত বছরের তুলনায় টন প্রতি ৪৫00 টাকা বেড়ে যাওয়ায় পড়তে হয়েছে আরো বিপাকে অপরদিকে দফায় দফায় বৈরি আবহাওয়ায় কাঁচা ইটের ধ্বশ নেমে ইট তৈরির পটগুলো ইট তৈরির অনুপযোগি হওয়ায় ইট তৈরি করার জন্য ওই পটগুলো গড়ে তুলতে দ্বিগুণ খরচ করতে হয়েছে। খাইরুল ইসলাম শিকদার দৈনিক আমাদের খবরের প্রতিনিধি কে বলেন,বিভিন্ন খাতে খরচ করে ইটের তৈরি মুল্যের তুলনায় বিক্রয় মুল্য অনেক কম এবং আশানুরূপ ইট বিক্রয় না হওয়ায় আমদের ইট ভাটা গুলোয় ইটের পাহাড়ে পরিনত হয়েছে। অধিকাংশ ইট ভাটা গুলো পার্টনারশিপ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক সহ মানুষের নিকট থেকে চড়া লাভের উপর কেউবা জমি বিক্রয় করে ইট ভাটায় খাটিয়ে দেউলিয়া হয়েগেছে,ইট ভাটা মালীকদের দাবী আমাদের ইট ভাটা শিল্পের উপরে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট ট্রাক্স দিচ্ছি অতছ এতদা সত্বেও বিভিন্ন অনিয়ম দেখিয়ে জরিমানা করছে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং দিচ্ছেনা আমাদের পূর্নঙ্গ ছাড়পত্র। যে কারনে ভাটা মালীকগন হচ্ছে অনেক হয়রানির শিকার। খায়রুল শিকদার সহ ইট ভাটা মালীকদের দাবী মাননীয় সরকার যেনো ইট শিল্পের উপরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন এবং পুর্ন নিয়ম নিতীর মধ্যে আনতে পারলে আমরা নানা বাধা অতিক্রম করে এবং সিন্ডিকেটের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে লোকসানের হার কমিয়ে ব্যাংক ঋন পরিষোধ সহ সরকারের রাজস্ব কোটি কোটি টাকা আদায় করে দিতে সক্ষম হবো।
গাজীপুর টাংগাইল মানিকগঞ্জ ঢাকা জেলায় প্রায় একহাজারেরও বেশি ইট ভাটা রয়েছে যার ৯৫ ভাগ ভাটা মালীকগন এবছর লোকসানের ঘানি টানছে লক্ষ লক্ষ টাকা যেটা ইট ভাটা মালীকদের চোঁখের ঘুমকে হারম করেদিয়েছে। তবুও লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে মাননীয় সরকার মহোদয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দিন গুনছে ইটভাটা মালীকগন মাননীয় সরকার মহোদয় যদি ইট শিল্পের দিকে একটু মেহরবানী করে সুনজরে খেয়াল করেন তাহলে লোকসানের হার কমিয়ে ব্যাংক ঋন পরিষোধ করে মানবেতর জীবন জাপন থেকে পরিত্রান পাবে বলে দৃড় প্রত্যাশা।
আকরম হোসেন