নিউজ ডেস্ক
আশুলিয়ার জামগড়া বেরন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ উম্মাদ দায়িত্বহীন ডাক্তার দ্বারা অব্যবস্থাপনায় চলছে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সাভারের আশুলিয়া বৃহত্তর শিল্পাঞ্চল হওয়ায় অধিকাংশ পোশাক শ্রমিক ও নিন্ম আয়ের মানুষের বসবাস তাই মোটামুটি খরচের মধ্য ভাল মানের চিকিৎসা সেবা নিতে অনেকেই ছুটে যায় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র নামক একটি ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হাসপাতালটিতে।
কিনতু পরিতাপের বিষয়ঃ হাসপাতালটিতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে সেবার বদলে হতে হচ্ছে হেনস্তা ও নানা ধরনের হয়রানীর শিকার। এখানে বেশিরভাগ প্রসূতি মায়েরাই চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন এবং সিজারসহ নরমাল ডেলিভারীও করান উক্ত হাসপাতালটিতে। তবে চিকিৎসা সেবার মান যেমন নিন্মমানের তেমনি ডাক্তার থেকে শুরু করে হাসপাতলের নার্স আয়া বুয়াসহ সকলের বিরুদ্ধেই রয়েছে সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে অশোভন নোংরা আচরণসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ। ঘটনা উৎঘাটনে….
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার প্রসূতি রুখসানা ইসলামকে সিজারের জন্য আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক, স্টাফ ও নার্সরা রোগীর সাথে অশোভন আচরণসহ দায়িত্বে অবহেলা করেন। ওনদিনই দুপুর ২টার দিকে সিজার সম্পন্ন করে রাত ১০ টায় হাসপাতালের কেবিনে হস্তান্তর করা হয় ওই প্রসুতিকে।
পরের দিন সকালে নবজাতক কান্না-কাটি করলে বাচ্চাকে দুধ পান করানোর সময় নবজাতকের মাথায় দুটি সেলাই দেখতে পায় তার মা। বিষয়টি জানানো হলে সিজারকারী চিকিৎসক ফেরদৌস মহল রুনী বোঝানোর চেষ্টা করেন কোন সমস্য হবেন না, এটা ঠিক হয়ে যাবে। এঘটনার ব্যাপারে নবজাতকের মামা এনামুল হক আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্যবস্থাপকের (অপারেশন) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া থানার এসআই আজহার বলেন, এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া ডা.ফেরদৌস মহল রুনীর বিরুদ্ধে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতালে চাকুরীরত অবস্থায় তার নিকট চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও। উত্তরার একজন গৃহিনী বলেন, ডা.রুনীর নিকট আমার মেয়ে সিজার হয়েছিল উনি আমার মেয়েকেও অনেক আজেবাজে নোংরা আচরণ করেছে এবং তার এই কর্মকাণ্ড ও অশোভন আচরণের কারনে কোথায়ও টিকতে না পেরে উত্তরা খালপাড় চেম্বার খুলে বসেছে। এবং বর্তমানে আশুলিয়া নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার নার্স আয়া বুয়াসহ সকলেই তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ অথচ কেউ তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করেনা। ভূক্তভোগী রোগীরা বলেন,ডা.ফেরদৌস মহল রুনী উনি একটা বাজে ডাক্তার ব্যবহার আচার খুবই নোংরা ও উম্মাদের মতো। তিনি রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতলে চাকুরী করাকালীন রোগীদের সাথে উম্মদনা নোংরা আচরণ ও দায়িত্ব অবহেলার কারনে উন্নত হাসপাতালগুলো থেকে তাকে অব্যহতি প্রদান করেন বলে জানান তারা। নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন নার্স নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন,এই ডাক্তার এমনি কয়েকদিন আগেও এক রোগীর সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের হাত ভেঙ্গে ফেলেন। উনি যেখানেই চাকুরী করেছেন সেখানেই এরকম অঘটন ঘটিয়ে চলে আসেন। এছাড়া উনি সিজারের সময়ও তাড়াহুড়ো এবং রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন। নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অপারেশন থিয়েটারের পাশের রুমে গিয়ে দেখাযায়, সিজার শেষে রোগীদের একই রুমে গাদাগাদি কয়েকটি বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। নোংরা ও রোগীদের নানা অভিযোগ নিয়ে অব্যবস্থাপনায় উম্মাদ বদ মেজাজী অন-অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে চলছে হাসপাতালটি।